নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া
জুন ১১, ২০২৫, ০৬:০৭ পিএম
নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া
জুন ১১, ২০২৫, ০৬:০৭ পিএম
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নারীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, মাথার চুল কেটে দেওয়া এবং বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাদের ছাড়াতে বুধবার সকাল ১১টার পর থেকে শতাধিক গ্রামবাসী কুমারখালী থানা ঘেরাও করে উত্তেজনা সৃষ্টি করে।
ভুক্তভোগী নারী মঙ্গলবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে সাতজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
এর ভিত্তিতে বুধবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের মির্জাপুর এলাকা থেকে মুক্তি খাতুন, পারভিন খাতুন ও লিপি খাতুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সকাল ১১টা ৩৫ মিনিট থেকে থানা চত্বরে জনতা পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ায়। পরে কঠোর নিরাপত্তায় আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়।
গ্রামবাসীর দাবি, ওই নারী মাংস ও টাকা চুরি করেছেন।
তারা জানান, হাতেনাতে ধরার পর তাকে গাছে বেঁধে রাখা হয়। পরে স্থানীয়ভাবে শালিসে গৃহপালিত পশু ও স্বর্ণালঙ্কার দিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অপরদিকে ভুক্তভোগীর অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে চুরির নাটক সাজিয়ে তাকে মারধর ও অপমান করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রশিদ বলেন, “শারীরিক নির্যাতন, চুল কাটা, ভাঙচুর ও লুটপাটসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা হয়েছে। তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলাইমান শেখ বলেন, “আসামিদের ছাড়াতে জনতা থানায় ভিড় করেছিল। তবে কঠোর নিরাপত্তায় তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক।”
ইএইচ