কুষ্টিয়ায় জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের আলোচনা সভা

জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরাম কুষ্টিয়া জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হলেও তাদের দোসররা এখনো দেশে গণতন্ত্রবিরোধী ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন থেকে শুরু করে গণমাধ্যম পর্যন্ত বিভিন্ন মহল বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এসব অপতৎপরতা রুখে দিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তারা।

সোমবার সকালে কুষ্টিয়ার ছয় রাস্তা মোড়ে একটি মিডিয়া হাউজে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তারা। 

জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরাম কুষ্টিয়া জেলা শাখার উদ্যোগে সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সামছুল আলম স্বপন।

আলোচনায় বক্তব্য দেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মুকুল, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম সবুজ, সংগঠনিক সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট বকুল আলী, সদস্য সাইফুল ইসলাম, সোহেল খন্দকার, বাহারুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন তৎকালীন শাসক শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল গঠন করে দেশের ২২২টি পত্রিকা বন্ধ করে দেন এবং মাত্র ৪টি পত্রিকা চালু রেখে বাকস্বাধীনতা হরণ করেন। এতে হাজার হাজার সাংবাদিক কর্মহীন হয়ে পড়েন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান পরবর্তীতে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।

বক্তারা আরও বলেন, বর্তমান শাসকগোষ্ঠীও নানা ফন্দি-ফিকিরে সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। ‘আমার দেশ’, ‘দিনকাল’, ‘সংগ্রাম’ পত্রিকা এবং দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি, সিএসবি নিউজ, চ্যানেল ওয়ানের মতো একাধিক গণমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর যেসব মিডিয়া চালু রাখা হয়েছে, সেগুলো স্বৈরাচারের স্বার্থে পরিচালিত হয়েছে।

তারা বলেন, এখনো কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে খোকসা পর্যন্ত কিছু গণমাধ্যমে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে, যারা নিজেদের বিএনপিপন্থী পরিচয় দিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ সিদ্ধির চেষ্টা করছে। বক্তারা এদের থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান এবং বলেন, এদের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই।

বক্তারা বলেন, “আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, ন্যায়ের পক্ষে এবং উন্নয়নের জন্য কাজ করি। কেউ মিথ্যা তথ্য বা অপপ্রচারের মাধ্যমে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করলে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে।”

বক্তারা বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা বজায় রেখে দল ও জনগণের পাশে থেকে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

ইএইচ