Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫,

জমি সংক্রান্ত বিরোধে ভাইকে প্রাণনাশের হুমকি: থানায় অভিযোগ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

জুন ২০, ২০২৫, ০৬:০০ পিএম


জমি সংক্রান্ত বিরোধে ভাইকে প্রাণনাশের হুমকি: থানায় অভিযোগ

ঝিনাইদহে জমি সংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধের জেরে ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ তুলেছেন ঝিনাইদহ জজ আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহমেদ ওয়াসিফ কামাল। অভিযুক্ত ব্যক্তি তার বড় ভাই, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী আহমেদ সাদাত কামাল। 

এ ঘটনায় ওয়াসিফ কামাল বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শৈলকুপা উপজেলার কুমিড়াদহ গ্রামের ও ঝিনাইদহ শহরের আদর্শপাড়া বকুলতলার বাসিন্দা অ্যাডভোকেট আহমেদ মাসুদ কামাল ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন। তিনি এক স্ত্রী, এক কন্যা ও দুই পুত্র রেখে যান। তার মৃত্যুর পর হাটফাজিলপুর বাজারসংলগ্ন পৈতৃক ৮৫ শতক জমি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এই জমির মালিকানা ছিল তার জীবদ্দশায় ছোট ছেলে ওয়াসিফ কামাল ও মেয়ে দিশা কামালের নামে করা একটি দানপত্রের ভিত্তিতে।

আইনজীবী ওয়াসিফ কামালের দাবি, দলিল অনুযায়ী জমির মালিকানা তাদের বৈধ। কিন্তু বড় ভাই আহমেদ সাদাত কামাল সেই দান দলিল অস্বীকার করে কৌশলে তা বাতিল করার অপচেষ্টা করছেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, একটি প্রভাবশালী মহলের সহায়তায় সাদাত কামাল জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের মহাফেজখানায় রাখা দলিলে ঘষামাজা করেছেন, যাতে দলিলটি ভবিষ্যতে প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এ নিয়ে বর্তমানে রেজিস্ট্রি অফিস তদন্ত করছে।

অ্যাড. ওয়াসিফ কামাল আরও বলেন, “এই জমি সংক্রান্ত বিরোধে তৃতীয় পক্ষ, অর্থাৎ মামাতো ভাই তুষারের পরিবার জড়িয়ে পড়েছে। তাদের ছত্রছায়ায় আমাকে বিভিন্নভাবে সামাজিক হেনস্তা, অপবাদ, ভয়ভীতি এবং মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এ কারণেই আমি থানায় অভিযোগ করেছি।”

তিনি আরও বলেন, “এই হুমকি শুধু একজন আইনজীবীকেই নয়, আমাদের সমাজব্যবস্থাকেও চ্যালেঞ্জ করেছে। তাই ন্যায়বিচারের স্বার্থে আমি মুখ খুলেছি। হুমকির কাছে মাথা নত নয়, আমরা চাই আইনের শাসন ও সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হোক।”

এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বড় ভাই আহমেদ সাদাত কামালের বক্তব্য নেওয়ার জন্য একাধিকবার তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে রেজিস্ট্রি অফিস সূত্রে জানা গেছে, দলিল ঘষামাজার অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

ইএইচ

Link copied!