Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫,

শফিকুল ইসলাম মাসুদ

সারাবিশ্বে গণতন্ত্র ও সহাবস্থানের মডেল হবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

জবি প্রতিনিধি

জবি প্রতিনিধি

জুন ২০, ২০২৫, ০৮:০০ পিএম


সারাবিশ্বে গণতন্ত্র ও সহাবস্থানের মডেল হবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শুধু দেশের মধ্যেই নয়, সারাবিশ্বে গণতন্ত্র ও সহাবস্থানের একটি অনন্য মডেল হয়ে উঠবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

শুক্রবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (জবিসাস) দুই দশক পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত "গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা" শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, "একসময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে হলে ছাত্রলীগের অনুমতি নিতে হতো, ভিন্নমতের ছাত্ররা ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে গেলে হামলার শিকার হতো। অথচ আজ এই একই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা সবাই একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রবেশ করেছি, একই মঞ্চে বক্তব্য দিয়েছি। ছাত্রদল, শিবির ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান এখন জবিতে বাস্তবতা। আমি এ পরিবেশ তৈরি করায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষকদের ধন্যবাদ জানাই।"

গণমাধ্যমের ভূমিকায় তিনি বলেন, "বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় যেমন কিছু সাংবাদিক ভূমিকা রেখেছে, তেমনি এই ফ্যাসিবাদের পতনে সাহসী সাংবাদিকরাও বড় ভূমিকা রেখেছেন। সেই সাংবাদিককে ধন্যবাদ, যিনি প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন— কোটা বাতিলে রাজাকারের সন্তানরাও কি সুযোগ পাবে? এ ধরনের প্রশ্নই দেশে নতুন এক রাজনৈতিক জাগরণ তৈরি করেছে।"

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম।

আলোচনায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন— বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ নিজামুল হক নাঈম, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ রাজনৈতিক, সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

ইএইচ

Link copied!