জবি প্রতিনিধি
জুন ২০, ২০২৫, ০৭:৪৬ পিএম
জবি প্রতিনিধি
জুন ২০, ২০২৫, ০৭:৪৬ পিএম
“জুলাই আন্দোলন হঠাৎ করে হয়নি, এটি ছিল একটি গণঅভ্যুত্থান। এই অভ্যুত্থানে সবার ঘাম, ত্যাগ ও সংগ্রাম জড়িত”—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।
শুক্রবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (জবিসাস) দুই দশক পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন তিনি।
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, “বছরের পর বছর মানুষ স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে লড়েছে। যারা ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে কথা বলেছে, তারাই জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছে, জেল খেটেছে। এই সরকার দেশে গুমের নতুন সংস্কৃতি চালু করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা শুধু নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করছি না। আমাদের লক্ষ্য দেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলা। তারেক রহমানের ৩১ দফার বাস্তবায়নের মাধ্যমেই এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।”
ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদি জাতীয় সংস্কার এবং ইনসাফ প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠন করাই শুধু উদ্দেশ্য নয়— বরং এটি একটি বড় জাতীয় রূপান্তরের সূচনা। ৫ আগস্টের পর আমাদের দায়িত্ব হয়েছে এই দেশকে পুনর্গঠন করা।”
এ্যানি বলেন, “এই আন্দোলনে শুধু ছাত্রদল বা ছাত্রশিবির নয়, সাধারণ শিক্ষার্থীরাও গ্রেপ্তার হয়েছে। সাংবাদিকদেরও এই যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা আন্দোলন করব, গণমাধ্যম সত্য তুলে ধরবে।”
বক্তব্যের শেষদিকে তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদের বিচার আরও দ্রুত হওয়া উচিত ছিল। রাজনৈতিক ভিন্নমত থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের ভিত্তিতে সমালোচনা হওয়া উচিত। আমরা চাই জনগণের সরকার গঠিত হোক— নির্বাচনের মাধ্যমেই।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জবিসাস সভাপতি ইমরান হুসাইন এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন লিমন।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ, গণ অধিকার পরিষদের নেতা রাশেদ খান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির মহাসচিব মুহা. নিজামুল হক নাঈম, ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সাংবাদিক সমাজের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য গণমাধ্যম নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ইএইচ