বরিশাল ব্যুরো
আগস্ট ৮, ২০২৫, ০৭:০৭ পিএম
বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের তালতলি বাজারে চাঁদা দাবি করে হামলা ও টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় বরিশাল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদকে আদালত কারাগারে প্রেরণ করেছেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী-১ আদালতের বিচারক নুরুন নাজনীন এই আদেশ দেন।
আসামি সাজ্জাদ চরবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহে আলমের ছেলে এবং বরিশাল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক।
মামলার শুরুতে বিচারক সমন জারি করে আসামিদের হাজিরার নির্দেশ দেন। মামলার ৮ জন আসামি আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। তবে প্রধান আসামি শহিদুল ইসলাম সাজ্জাদ হাজিরা দিতে না আসায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। বৃহস্পতিবার সাজ্জাদ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলেও বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। পরে সাজ্জাদকে কোর্ট পুলিশ কারাগারে পাঠানো হয়।
অপর অভিযুক্তরা হলেন— বশির (৩৫), যুবদল আহ্বায়ক, চরবাড়িয়া ইউনিয়ন, শহিদুল ইসলাম সাজ্জাদ (৩০), মো. মিজান (৩০), মো. আল আমিন হোসেন (৩২), নুর ইসলাম (নুরু) (৫২), মেহেদী হাসান (৩১), সজিব (২৮) ও মো. জাফর (৩৫)।
মামলাটি ২০২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তালতলি বাজারের ‘হাফসা সুপার মার্কেট’ এলাকায় চাঁদা দাবি, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা হয়। মামলাটি ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে দায়ের করেন চরবাড়িয়া গ্রামের হাতেম আলী হাওলাদারের ছেলে মামুন হাওলাদার। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরিশাল কাউনিয়া থানার এসআই মো. হাবিবুর রহমান ২৪ মে চার্জশিট দাখিল করেন।
কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান বলেন, “আমরা বিষয়টি শুনেছি এবং কিছু হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ চাঁদাবাজি করলে তার কোনো ছাড় নেই।”
কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক আবদুল আল মামুন জানান, “এখনো তদন্ত চলছে, তদন্তের পর পরবর্তী পদক্ষেপ জানানো হবে।”
বরিশাল জেলা যুবদল ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলেন, “দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে কেউ অপরাধ করলে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ইএইচ