ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
আগস্ট ১০, ২০২৫, ০১:০৬ পিএম
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে মধ্যযুগীয় কায়দায় হাত-পা বেঁধে মুখে কাপড় গুঁজে গৃহকর্তা মনোয়ার পাঠান (৭০) কে বেদম মারধর ও হত্যা চেষ্টা করেছে স্ত্রী, ছেলে ও দুই মেয়ে।
শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার পূর্ব পাঠানবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বৃদ্ধ মনোয়ার পাঠান (৭০) কে উদ্ধার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পেশায় অটোরিকশা চালক মনোয়ার পাঠান দীর্ঘদিন ভাড়ায় অটোরিকশা চালাতেন। প্রায় ১৩ দিন আগে স্থানীয় একটি এনজিও থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে তিনি কলেজগেট এলাকা থেকে একটি পুরোনো অটোরিকশা ক্রয় করেন। এ নিয়ে স্ত্রী তাসলিমা বেগমের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়।
মনোয়ার পাঠান অভিযোগ করে বলেন, “আমি লোন নিয়ে অটোরিকশা কিনেছিলাম। আজ আমার অজান্তে স্ত্রী ও সন্তানরা অটোরিকশাটি ৫৩ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে। কারণ জানতে চাইলে তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। প্রতিবাদ করায় স্ত্রী তাসলিমা বেগম, ছেলে জুয়েল (২২), বড় মেয়ে প্রিয়া (৩০) ও ছোট মেয়ে রিয়া (১৫) আমাকে বেদম মারধর করে। এরপর হাত-পা বেঁধে মুখে কাপড় গুঁজে আমাকে হত্যার চেষ্টা করে। পা বাঁধা অবস্থায় আমি স্টিলের দরজায় লাথি দেই। দরজায় লাথির শব্দ পেয়ে আশপাশের লোকজন আসে, কিন্তু তারা ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে রাখে। আমি আমার পরিবারের লোকজনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
ফরিদগঞ্জ থানার (ওসি) রাজীব চক্রবর্তী বলেন, সংবাদ পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বৃদ্ধ মনোয়ার পাঠানকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করি। বৃদ্ধ মনোনয়ারের স্ত্রী, ছেলে ও দুই মেয়েকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় মনোয়ার পাঠান বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় রোববার তাদের আদালতে প্রেরণ করা হবে।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা ঘটনাটিকে “অমানবিক” আখ্যা দিয়ে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
জেএইচআর