মিরাজ আহমেদ, মাগুরা
আগস্ট ৭, ২০২৫, ০৯:০৩ পিএম
মাগুরা শহরের নবগঙ্গা নদীতে ডুবে যাওয়া সাত বছর বয়সী শিশু তানভীরের মরদেহ অবশেষে উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার বরুনাতৈল গ্রামের বর্ণতুল খালের ইউসুফ মোল্লার ঘাট এলাকা থেকে তার নিথর দেহটি ভেসে ওঠে।
তানভীর সদর উপজেলার পারনান্দুয়ালী এলাকার ব্যাপারীপাড়ার বাসিন্দা আরজু মোল্লার ছেলে।
এর আগে, বুধবার সকাল ১১টার দিকে শহরের ঢাকা রোডসংলগ্ন নবগঙ্গা নদীর পাড়ে রেলিঙের ওপর দিয়ে হাঁটার সময় হঠাৎ পা পিছলে পানিতে পড়ে যায় সে। নদীর প্রবল স্রোতে মুহূর্তেই সে দৃষ্টির অগোচরে চলে যায়।
দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয়দের সহায়তায় মাগুরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। একই দিন দুপুরে ফরিদপুর থেকে বিশেষ প্রশিক্ষিত ডুবুরি দল এসে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালায়। কিন্তু বহু প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তানভীরকে সেদিন উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
বৃহস্পতিবার ভোরে স্থানীয় বাসিন্দা ইঞ্জাল মোল্লা ডোঙ্গা নিয়ে খালে চলাচলের সময় একটি বস্তু আটকে থাকতে দেখে সন্দেহ করেন। পরে তিনি মাছ ধরতে থাকা অপর এক ব্যক্তি শামীম মোল্লাকে ডেকে আনেন। শামীম মোল্লা যখন বস্তুটি টেনে তোলেন, তখন সেটিই নিখোঁজ তানভীরের মরদেহ বলে শনাক্ত হয়।
মাগুরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের স্টেশন অফিসার রুহুল আমিন বলেন, “বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাদের নিজস্ব দল এবং ফরিদপুরের বিশেষ ডুবুরি দল যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেছে। কিন্তু নদীর প্রবল স্রোত ও ভিন্নধর্মী গঠনগত বৈশিষ্ট্যের কারণে শিশুটিকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।”
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আইয়ুব আলী বলেন, “দুর্ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন, স্বেচ্ছাসেবক ও ফায়ার সার্ভিস একযোগে উদ্ধার কার্যক্রম চালায়। বৃহস্পতিবার সকালে মরদেহ ভেসে ওঠার পর আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তা স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
এদিকে, শিশুটির মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রতিবেশী, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা শোকসন্তপ্ত পরিবারটির প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
ইএইচ