Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪,

মুদ্রাবাজার স্বাভাবিক রাখতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি অব্যাহত

সাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া

ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩, ০৪:০৩ পিএম


মুদ্রাবাজার স্বাভাবিক রাখতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি অব্যাহত

জরুরি পণ্য আমদানির জন্য বৈদেশিক মুদ্রাবাজার পরিস্থিতি ঠিক রাখতে ডলার বিক্রি অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলারে। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের আলোকে হিসাব করলে রিজার্ভ এখন ২৪ বিলিয়নের কিছু বেশি রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, সর্বশেষ গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে মোট ছয় কোটি ৪০ লাখ ডলার বিক্রি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ নিয়ে চলতি অর্থবছরে বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ৯৬৭ কোটি ডলার বিক্রি করা হয়েছে। এর আগে এত কম সময়ে কখনো এত ডলার বিক্রির প্রয়োজন হয়নি। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) ৯২০ কোটি বা ৯ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে কখনো এত পরিমাণ ডলার বিক্রির প্রয়োজন হয়নি। অন্যান্য বছরে বিভিন্ন ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার কিনে সংগ্রহ রেখেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। গত অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে বিক্রি করেছিল ৭৬২ কোটি ডলার।

এভাবে ডলার বিক্রির ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ৩২ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের আলোকে হিসাব করলে রিজার্ভ এখন ২৪ বিলিয়নের কিছু বেশি। গত বছরের এ সময়ে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৫ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এক বছরে কমেছে ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার।

তবে সুখবর দিচ্ছে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স। এ দুই ধারা এখন ইতিবাচক। এর বিপরীতে নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থার কারণে আমদানি কমছে। চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে তিন হাজার ২৪৫ কোটি ডলারের রপ্তানি আয় হয়েছে, যা প্রতি মাসে গড়ে ৪৬৪ কোটি ডলারের রপ্তানি আয় হয়েছে। নভেম্বর, ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে গড়ে ৫২০ কোটি ডলার রপ্তানি হয়েছে।

একই সময়ে বেড়েছে রেমিট্যান্স। জানুয়ারিতে প্রবাসী আয় বেড়েছে। এ মাসে দেশে এসেছে ১৯৬ কোটি ডলারে। আগের মাস ডিসেম্বরে এটি ছিল প্রায় ১৭০ কোটি ডলার। আর চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ১০ দিনে ৬৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। ফলে ফেব্রুয়ারি মাসেও রেমিট্যান্স বাড়বে এমনটা বলছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

এআরএস

Link copied!