ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বুধবার, ০২ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

ঢাবির মোতাহার হোসেন ভবনে ক্যান্টিন না থাকায় শিক্ষার্থীদের‌ দুর্ভোগ

জালাল আহমদ, ঢাবি

জালাল আহমদ, ঢাবি

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২, ০৭:৫১ পিএম

ঢাবির মোতাহার হোসেন ভবনে ক্যান্টিন না থাকায় শিক্ষার্থীদের‌ দুর্ভোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী মোতাহার হোসেন ভবনে শিক্ষার্থীদের জন্য কোন ক্যান্টিন বা ক্যাফেটেরিয়া না থাকায় খাবারের জন্য তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে।

জানা যায়, মোতাহের হোসেন ভবনে ক্যান্টিন বা ক্যাফেটেরিয়া না থাকায় সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার এবং কোমল পানীয় কিনতে শিক্ষার্থীদেরকে ছুটতে হয় পাশ্ববর্তী খাবারের দোকানে। কেউ খাবার খেতে যায় টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় এবং কেউ যায় গণিত বিভাগের ক্যান্টিনে। গণিত বিভাগের ক্যান্টিনে খাবারের দাম বেশি বিধায় কেউ ছুটে যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের ক্যান্টিনে। একটা চায়ের কাপে চুমুক দিতে ছুটতে হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজের বহির্বিভাগের গেইটে। ফলে খাবার নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কোন শেষ নাই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মোতাহার হোসেন ভবনে আইন বিভাগ, পরিসংখ্যান বিভাগ, নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, আবহাওয়া বিজ্ঞান, সমুদ্রবিজ্ঞান, রুবটিক্স এবং মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ ৭ টি‌ বিভাগ আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বেশি মেধাবী শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে এসব বিভাগে।

বিভিন্ন বিভাগে খবর নিয়ে জানা যায়, এসব বিভাগে নিয়মিত এবং অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের তিন হাজারের বেশি। দীর্ঘদিন ধরে এসব বিভাগের শিক্ষার্থীরা একটি ক্যান্টিন বা ক্যাফেটেরিয়া নির্মাণ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে আসছে। কিন্তু কোন পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন।

পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র সাজ্জাদ হোসেন স্মরণ জানান, ক্লাসের মাঝখানে বিরতির সময় খাওয়া  এবং নামাজ আদায় করতে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়। খাওয়ার জন্য আশেপাশের কোন হলের ক্যান্টিন বা টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় দৌড়াতে হয়।

দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানানোর পরও ক্যান্টিন বা ক্যাফেটেরিয়া স্থাপন না হওয়ায় রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আইন বিভাগের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন আইন বিভাগের ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সাখাওয়াত জাকারিয়া বলেন, আইন অনুষদে ক্যান্টিন স্থাপন, এটা আমাদের প্রাণের দাবিটি। এই দাবিটি অনেক পুরনো। কোনো এক অজানা কারণে এখন পর্যন্ত আলোর মুখ দেখতে পারেনি। একটি স্বতন্ত্র ফ্যাকাল্টি হয়েও নিজস্ব ক্যান্টিন না থাকাটা নিজেদের জন্যও অপমানজনক। এবার আমরা নতুন করে দাবিটি তুলেছি এবং দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত আমরা আমাদের দাবি আদায়ের সংগ্রাম চালিয়ে যাব ইনশা আল্লাহ।

জানা যায়, এক সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোতাহার হোসেন ভবনে একটি ক্যান্টিন ছিল। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সেটি বন্ধ হয়ে যায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক ছাত্র এবং বর্তমান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বর্তমান সহ সাধারণ সম্পাদক (এজিএস-২) এডভোকেট মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান বলেন, আমাদের সময়ে বলয় দা‍‍`র ক্যান্টিন ছিল। বলয়দা মারা যাওয়ার পর তার ছেলে রবি ক্যান্টিনটি চালাতেন। অনেক সকালে ক্লাসে থাকলে আমরা বাসায় নাস্তা খাওয়ার সময় না পেলে ঐ ক্যান্টিনে খেতাম। আমাদের সময়ে ক্লাসের মাঝখানে বিরতি ছিল না। তাই চাইলেই বিজ্ঞান অনুষদের এনেক্সের বাইরে গিয়ে নাস্তা খাওয়ার সুযোগ ছিল না।

মোতাহার হোসেন ভবনের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কোন ক্যান্টিন বা ক্যাফেটেরিয়া না থাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক কয়েকজন শিক্ষার্থী বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, এই ভবনে শিক্ষার্থীদের স্বার্থে একটি ক্যান্টিন বা ক্যাফেটেরিয়া স্থাপন করা অত্যন্ত জরুরী।

তবে কয়েকজন মেয়ে শিক্ষার্থীর আশঙ্কা, মোতাহার হোসেন ভবনের পাশে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের বহির্বিভাগ থাকার কারণে বহিরাগত লোকজন আসার সম্ভাবনাও রয়েছে। কর্তৃপক্ষ কে এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান, জনপ্রিয় শিক্ষকনেতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, মোতাহার হোসেন ভবনে বিভিন্ন বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ক্যান্টিন জরুরি। তৃতীয় তলায় শিক্ষকদের জন্য একটি লাউঞ্জ আছে। ফলে আমাদের সমস্যা হয় না। বহিরাগতদের আনাগোনা ঠেকাতে মোতাহার হোসেন ভবনের নিচতলায় ক্যান্টিনটি না করে উপরে কোন এক জায়গায় ক্যান্টিন বা ক্যাফেটেরিয়া স্থাপন করলে বহিরাগতদের আনাগোনা কম হবে।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডীন ড. সীমা জামান বলেছেন, ছাত্ররা বিভিন্ন সময়ে আমাদের কাছে দাবি জানিয়েছে। আমরা চিন্তা করতেছি। জায়গা বরাদ্দ‌, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং আর্থিক সহায়তার বিষয় আছে। সবার সাথে সমন্বয় করে হবে। আমি তো ভারপ্রাপ্ত ডীন। তাই আমারও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে।

কেএস

Link copied!