জাবি প্রতিনিধি
মে ২১, ২০২৩, ০৯:১৫ পিএম
জাবি প্রতিনিধি
মে ২১, ২০২৩, ০৯:১৫ পিএম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অর্থনীতি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সহপাঠীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
রবিবার (২১ মে) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলের প্রধান অধ্যাপক জেবউন্নেসা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অভিযুক্ত হাসান মো. মুবাশ্বির ফাহিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের (৪৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী। অন্যদিকে ভুক্তভোগীও বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের (৪৭তম ব্যাচ) এক নারী শিক্ষার্থী।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত ১৭ এপ্রিল বিকেলের দিকে ভুক্তভোগী ইন্সটাগ্রাম এবং ফেসবুকে একটি স্টোরি শেয়ার করেন। স্টোরিতে একটি লিঙ্ক দেওয়া ছিলো, যেটিতে ক্লিক করে পরবর্তীতে পরিচয় গোপন রেখে মেসেজ পাঠানোর সুযোগ থাকে। তবে অভিযুক্ত হাসান মো. মুবাশ্বির ফাহিম পরিচয় গোপন না করে স্টোরির রিপ্লাই দিয়ে মেসেজ পাঠায়।
মেসেজটি শুধু যৌন ইঙ্গিতপূর্ণই নয়; পাশাপাশি কুরুচিপূর্ণ ও অপমানজনক ছিল বলে দাবি ভুক্তভোগীর।
জানা যায়, ফাহিমের মেসেজটি লিঙ্কে গিয়ে পরিচয় গোপন করে পাঠানো ছিল না বরং ইনস্টাগ্রামের স্টোরির রিপ্লাই দেওয়া হয়েছিল। তাই ফাহিমের পরিচয়সহ মেসেজটি ভুক্তভোগীর আইডিতে আসে। এ ব্যাপারে অন্য সহপাঠীরা ফাহিমকে জিজ্ঞেস করলে প্রথমে তিনি দোষ স্বীকার করে। ফাহিমের দাবি, তিনি মজা করে মেসেজটি দিয়েছিলেন। এছাড়া তিনি এ রকম মেসেজ আরো অনেককেই দিয়ে থাকেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী বলেন, `অভিযুক্তের কাছ থেকে এ রকম হেনস্থাকর মন্তব্যের সম্মুখীন হওয়া আমার জন্য হুমকিস্বরূপ। অভিযুক্ত যেহেতু বলেছেন, তিনি এমন বার্তা অনেককে পাঠান, সেহেতু আমার অন্য সহপাঠীরাও তার সঙ্গে ক্লাস করতে বা পরীক্ষা দিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।`
অভিযোগের বিষয়ে হাসান মো. মুবাশ্বির ফাহিম বলেন, ‘ইনস্টাগ্রাম স্টোরি তে এনোনিমাস যে লিংক শেয়ার করা হয়েছে ওখানে রিপ্লাই না দিয়ে ভুলক্রমে ম্যাসেজ এর রিপ্লাই দিয়ে ফেলি। এর জন্য ওর কাছে আমার ফেমিলিসহ গিয়ে ক্ষমা চাই। কিন্তু যেহেতু যৌন নিপীড়ন সেলে অভিযোগ চলে গিয়েছে তাহলে ওখানে গিয়ে কথা বলতে হবে।
যৌন নিপীড়ন সেল থেকে ওনার সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে কি না জিজ্ঞেস করলে তিন জানান, সেল থেকে এখনো যোগাযোগ করা হয় নি।’
যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলের প্রধান অধ্যাপক জেবউন্নেসা বলেন, `অভিযোগ পেয়েছি। ইতিমধ্যে উপাচার্য স্যার তদন্তের জন্য অনুমোদন দিয়েছেন। শীগগিরই তদন্ত কাজ শুরু হবে।`
আরএস