ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বুধবার, ০২ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad
অবস্থান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি

ছাত্রলীগের নেত্রী ছিলেন প্রভাষক ইপ্সিতা, জানতো না বিইউপি

আমার সংবাদ ডেস্ক

আমার সংবাদ ডেস্ক

মে ৮, ২০২৫, ০৮:১৫ পিএম

ছাত্রলীগের নেত্রী ছিলেন প্রভাষক ইপ্সিতা, জানতো না বিইউপি

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) আইন বিভাগে ছাত্রলীগ নেত্রী মৌমিতা রহমান ইপ্সিতার প্রভাষক পদে নিয়োগ পাওয়া নিয়ে সমালোচনা চলছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনরা ছাত্রলীগ নেত্রীকে নিয়োগের বিষয়ে আপত্তি তুলে পোস্ট দিচ্ছেন।

বিতর্কের মুখে বিইউপি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে। পাশাপাশি নিজেদের অবস্থানও স্পষ্ট করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাতে দাবি করা হয়েছে, ‘নিয়োগের সময় মৌমিতা রহমান ইপ্সিতার নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কোনো তথ্য বিইউপির কাছে ছিল না।’

বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি আইন বিভাগের প্রভাষক পদে একজন শিক্ষকের নিয়োগকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে মানহানিকর, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপব্যাখ্যা ও অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন এবং দুঃখজনক। বিইউপি সবসময় মেধা, যোগ্যতা, পেশাদারত্ব ও নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘শিক্ষক নিয়োগে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে দুই বছরের জন্য শিক্ষানবিশ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হয়। এ সময়ের মধ্যে তার বিরুদ্ধে আচরণগত, আইনগত ও নিরাপত্তাজনিত বিষয়ে পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করা হয়। এই ধাপটি সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ স্থায়ীভাবে কার্যকর হয় না।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘আলোচিত শিক্ষকের কর্মকাণ্ড ও নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে বিইউপির কাছে আগে কোনো তথ্য ছিল না। অভিযোগটি দৃষ্টিগোচর হওয়ার পরই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটির অভিমতের ভিত্তিতে বিইউপির প্রচলিত আইন ও বিধি-বিধান অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট ডিনকে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানান ‘মানহানিকর, অবান্তর ও অপব্যাখ্যাসহ আক্রমণমূলক’ তথ্য প্রচারের অভিযোগও তুলেছে কর্তৃপক্ষ।

এ প্রসঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘একটি স্বার্থান্বেষী মহল ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশে এসব তথ্য ছড়াচ্ছে, যা খুবই দুঃখজনক। বিইউপি সশস্ত্রবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত একটি মর্যাদাপূর্ণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষক নিয়োগে প্রতিষ্ঠানটি সর্বদা স্বচ্ছতা বজায় রেখে নিরপেক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি বিইউপির আইন বিভাগে নিয়োগ পান মৌমিতা রহমান ঈপ্সিতা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। ইপ্সিতা ছাত্রলীগ ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি।

তার সহপাঠী ও ঢাবির শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ইপ্সিতা ছাত্রজীবনে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তার পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত। ইপ্সিতার বাবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনিও আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন।

আরএস

Link copied!