জাবি প্রতিনিধি
মে ১৫, ২০২৫, ০৮:০৫ পিএম
জাবি প্রতিনিধি
মে ১৫, ২০২৫, ০৮:০৫ পিএম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে আয়োজিত দুইদিনব্যাপী ফ্রি হেলথ ক্যাম্পের দ্বিতীয় দিন চলছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই সেবামূলক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
আয়োজকদের বরাতে জানা যায়, ইম্প্যাক্ট থ্রো অ্যাকশন (আইটিএ) এর সহযোগিতায় দুই দিনব্যাপী এই ক্যাম্প চলছে। প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে পারছেন। এই ক্যাম্পে গাইনোকোলজি, হৃদরোগ ও বক্ষব্যাধি, নাক-কান-গলা ও চক্ষু, নিউরোমেডিসিন ও স্নায়ুরোগ, পরিপাকতন্ত্র, লিভার ও কিডনি রোগ, রক্তরোগ, হরমোনজনিত সমস্যা, চর্মরোগ ও ডায়াবেটিস, বাত-ব্যথা ও প্যারালাইসিস, মুখ ও দন্তরোগ, ফিজিওথেরাপি সহ নানা বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আদর্শ ওজন নিরূপণ (বিএমআই), প্রস্রাব পরীক্ষা, চোখের পরীক্ষা, ইসিজি, চেস্ট এক্স-রে, অক্সিমিটার ও আলট্রাসনোগ্রাফি পরীক্ষা করা হচ্ছে।
তাছাড়া, দুই দিনব্যাপী ক্যাম্পে ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবককে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের পাঁচ দফা কর্মসূচীর একটি হলো ‘ছাত্র সমস্যার সমাধান’। এরই আওতায় আজ ক্যাম্পের দ্বিতীয় দিন চলছে। স্বাস্থ্যসচেতন সমাজ গঠনে এটি একটি ছোট পদক্ষেপ হলেও এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদে গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের প্র্যাকটিক্যাল ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিষয়ক দক্ষতা অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। বর্তমান সময়ে দীর্ঘমেয়াদি রোগব্যাধি ও হেলথ ইমার্জেন্সি পরিস্থিতিতে দ্রুত প্রতিক্রিয়ার সক্ষমতা তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। তাই আমরা প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মকে প্রশিক্ষিত করার লক্ষ্যে এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।”
জাবি ছাত্রশিবিরের অফিস ও প্রচার সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, “দুই দিনব্যাপী হেলথ চেকআপ ক্যাম্পে সকল শিক্ষার্থীর জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ওষুধ সরবরাহ করা হবে। আমরা চেষ্টা করছি, শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হওয়ার আগেই সচেতন হয়ে সুস্থ থাকতে পারে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে। সুস্থ ও সচেতন শিক্ষার্থীরাই আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমাদের এই কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য সচেতন হবে এবং সুস্থ থেকে তাদের মেধা ও মনন দেশের কল্যাণে কাজে লাগাতে পারবে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”
ইএইচ