আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মে ১২, ২০২৫, ১১:০৬ এএম
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বেসামরিক ও আশ্রয়প্রার্থী ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো একের পর এক ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৮ জন শিশু রয়েছে।
রোববার রাতে এক প্রতিবেদনে তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি ড্রোন ও বিমান হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল মূলত বেসামরিক জনগণ এবং আশ্রয়প্রার্থীদের অবস্থান।
মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরে একটি জনবহুল স্থানে ড্রোন হামলায় দুজন নিহত হন এবং আরও অনেকে আহত হন। একই শহরে আরেকজন ড্রোন হামলায় এবং আরও একজন আগের হামলায় আহত হয়ে মারা যান।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে একটি আশ্রয়কেন্দ্র লক্ষ্য করে চালানো হামলায় এক ব্যক্তি ও তার শিশু সন্তান নিহত হন। শহরটির পশ্চিমাংশে আরও একটি তাঁবুতে চালানো ড্রোন হামলায় দুই শিশুসহ চারজন নিহত হন।
খান ইউনিসের পাশ্ববর্তী আল-মাওয়াসি এলাকায় পৃথক দুটি তাঁবুতে চালানো হামলায় চারজন নিহত হন, যাদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। ওই এলাকাতেই আরেকটি তাঁবুতে হামলায় আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়। এছাড়া একটি সাইকেলের ওপর চালানো ড্রোন হামলায় এক তরুণ প্রাণ হারান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্ব খান ইউনিসের আবাসান আল-কাবিরা শহরে ইসরায়েলি বাহিনী তীব্র গোলাবর্ষণ ও গুলিবর্ষণ চালিয়েছে। গাজা শহরের গোলাবর্ষণে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং উত্তরের জাবালিয়ায় আরেকজন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।
এছাড়া খান ইউনিসে একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে চালানো বিমান হামলায় ৪ জন নিহত হন। গাজা শহরের আরেকটি হামলায় নিহত হয়েছেন ৫ জন, যাদের মধ্যে একটি মেয়ে শিশুও রয়েছে।
গাজা শহরের আল-তুফাহ এলাকায় বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে একাধিক আবাসিক ভবন ধ্বংস করা হয়েছে। একইসঙ্গে জাবালিয়ার ওল্ড গাজা স্ট্রিটে একটি মসজিদে বিমান হামলায় আরও দুজন আহত হন।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫২ হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নারী ও শিশু।
ইএইচ
