Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

‘এবার রিজওয়ানার পালা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ২, ২০২৩, ০৭:১৭ পিএম


‘এবার রিজওয়ানার পালা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

নারীদের বাস্কেট বল খেলায় অনুপ্রাণিত করতে ইউনিসেফ-এর কারিগরি সহায়তায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজে উন্মোচিত হলো “এবার রিজওয়ানার পালা”। সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত এই বইটিতে বিভিন্ন বাধাবিঘ্ন-কে পাশ কাটিয়ে বাংলাদেশের একজন তরুণীর বাস্কেটবল খেলোয়াড় হয়ে ওঠাকে তুলে ধরা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ ২০২৩) বিকেলে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন যুব ও ক্রীড়া সচিব ডঃ মহিউদ্দিন আহমেদ।
এসময় যুগ্মসচিব কাজী নজরুল ইসলাম, ইউনিসেফ শিশু সুরক্ষা বিভাগের প্রধান নাটালি ম্যাককলি, ইউনসেফ বাংলাদেশের শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থাপক এলিসা কল্পনা এবং বইটির লেখিকা ক্রিস্টাল পটেবাম উপস্থিত ছিলেন। 
ইউনিসেফ বাংলাদেশের শিশু সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ মনিরা হাসানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া সচিব বলেন, এটা নিছক কোনো গল্পের বই নয়। এটা শিশুদের জন্য অনুপ্রেরণা। তাই আমরা ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করতে আমরা আনন্দিত। ভবিষ্যতে সব শিশু যেন রিজওয়ানার মতো হয়ে ওঠে। দেশ গঠনে ভূমিকা রাখে। 
খেলাধূলার মাধ্যমেও ক্ষমতায়ন সম্ভব উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ১৬ লাখ শিশুর মধ্যে ৯ লাখ মেয়ে শিশুকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এর সঙ্গে অভিভাবকরাও অন্তর্ভূক্ত হবে। তবে এক্ষেত্রে সমাজের সকলকেই এর অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। 
এলিসা কল্পনা বলেন, আমরা ২০২২ সালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যে কাজ করিছি আজ তার প্রতিফলন দেখতে পাবেন। এই বইয়ের মধ্যে একজন কিশোরি কী ধরনের প্রতিবন্ধকতার মধ্যে খেলায় পা রাখে তা তুলে ধরা হয়েছে। কেননা খেলাধূলার মাধ্যমে সহিংসতা ও লিঙ্গ সমতার লড়াইয়ে কীভাবে জিততে হবে তা নিয়ে ইউনিসেফ এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কাজ করছে। মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিলে ফুটবল, ক্রীকেটসহ ৯টি ক্যাটাগরির খেলার পৃষ্ঠপোষকতা করেছে ইউনিসেফ বাংলাদেশ।  আগামী চার মাসে দেশের ১০ লাখের মতো শিশু এই খেলার সুযোগ পাবে। এছাড়াও ৪০ লাখের মতো শিশু এর সুবিধা পেতে যাচ্ছে।   
বইটি প্রকাশ করায় “হারস্টরি ফাউন্ডেশন” এবং খেলাকে তৃণমূলে ছড়িয়ে দিতে ‘দেশী বল’-কে ধন্যবাদ জানান এলিসা।
অনুষ্ঠানে ম্যাক ক্যালি বলেন, নারীদের বাস্কেট বল খেলায় অনুপ্রাণিত করতে এই বইটি উন্মোচন করা হয়েছে। এই বইয়ে রিজওয়ানা যেভাবে প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে বাস্কেট বল খেলোয়াড় হওয়ার গল্প তুলে ধরা হয়েছে। অল্প রিসোর্সে ব্যবহার করে এই খেলাটা পরিচালনা করা যায়। আর শিশু-কিশোরদের খেলাধূলায় উৎসাহিত করা এবং নীতিনির্ধারকদের অনুপ্রাণিত করার উদ্দেশ্যেই আমাদের এই সহযোগিতা আগামীতে অব্যহত থাকবে। 
বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই বইটি প্রকাশ করা হয়েছে জানিয়ে বাংলাদেশের আতিথেয়তার প্রশাংসা করেন লেখিকা ক্রিস্টাল পটেবাম। বক্তব্যে তিনি বইয়ের গল্পটা উপস্থাপন করেন। 
মোড়ক উন্মোচনের পর “পিএসএ অন প্রোমোটিং দ্যা স্পোর্টস ফর ডেভেলাপমেন্ট (এসফোরডি) ইন বাংলাদেশ” সম্পর্কে একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল দেখানো হয়, এবং স্কুলের বাইরে থাকা শিশুদের জন্য একটি প্রীতি বাস্কেটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রসঙ্গত, গত বছর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং ইউনিসেফ “স্পোর্টস ফর ডেভেলপমেন্ট (S4D)” শীর্ষক একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। ইউনিসেফ বেশ কিছু জেলায় এসফোরডি (S4D) সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা আয়োজন করে থাকে। “এবার রিজওয়ানার পালা (Pass It to Rizwana) বইয়ের মোড়ক উন্মোচন” অনুষ্ঠানটিও এসফোরডি (S4D) কার্যক্রমের-ই একটি অংশ।

এআরএস

Link copied!