ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক ২০২৩ পাচ্ছেন হাবিবুর রহমান

মো. মাসুম বিল্লাহ

ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩, ০৫:৩৫ পিএম

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক ২০২৩ পাচ্ছেন হাবিবুর রহমান

বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি ও ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধান হাবিবুর রহমান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক ২০২৩ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৩ (২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটের অডিটরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পদক তুলে দেবেন।

বেদে জনগোষ্ঠীদের বিলুপ্তপ্রায় মাতৃভাষা ‘ঠার’ ভাষা সংগ্রহে অবদান রাখায় এ পদক পাচ্ছেন হাবিবুর রহমান। এই ভাষাটির নেই কোনো বর্ণ বা লিপি। মূলত এটি কথ্য ভাষা। যা সাধারণ মানুষের বোধগম্যের বাইরে। ভাষা বিজ্ঞানীদের মতে, ১৬৩৮ সালে শরণার্থী আরাকানরাজ বলালরাজের সঙ্গে মনতং জাতির যে ক্ষুদ্র অংশ বাংলাদেশে প্রবেশ করে তাদের ভাষার নাম ‘ঠার’ বা ‘ঠেট’ বা ‘থেক’ ভাষা। সেই রহস্যময় ‘ঠার’ ভাষা নিয়ে আট বছরের গবেষণালব্ধ পূর্ণাঙ্গ বই ‘ঠার বেদে জনগোষ্ঠীর ভাষা’ প্রকাশ পায় গত বছর। বছর না ঘুরতেই সেই কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পেত যাচ্ছেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক ২০২৩।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক বাংলাদেশের একটি বেসামরিক পুরস্কার। বিশ্বজুড়ে মাতৃভাষায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২১ সাল হতে এই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক প্রদান শুরু হয়। ২০২১ সাল হতে প্রতি দুইবছর পরপর এই পদক প্রদান করা হচ্ছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সরকার পদকটি প্রবর্তন করে। এবার হাবিুরর রহমানসহ একাধিক ব্যক্তি এই পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।

কর্মক্ষেত্রে ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে হাবিবুর রহমান তিনবার বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও দুইবার রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পেয়েছেন। তাছাড়া সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষ, বেদে সম্প্রদায় ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে নিয়ে তার কাজ প্রশংসিত। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে গুরুদায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মানবিক কাজই নয়, হাবিবুর রহমান সম্পাদনা করেছেন আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ। যৌনপল্লীর শিশুদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়ানো, একাত্তরে পাক-হানাদারদের বিরুদ্ধে পুলিশের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের খুঁজে বের করা, তাদের নিয়ে বই সম্পাদনা-এসব কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।

১৯৬৭ সালে গোপালগঞ্জের চন্দ্র দিঘলিয়া গ্রামে জন্ম নেওয়া হাবিবুর রহমান ১৭তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে যোগ দেন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে। বরাবরই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত এই পুলিশ কর্মকর্তা বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছেন। পেশাগত সাফল্য তাকে নিয়ে গেছে ঈর্ষণীয় অবস্থানে।

পুলিশসহ সব মহলে একজন মানবিক কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত হাবিবুর রহমান ডিআইজি (প্রশাসন) হিসেবে পুলিশ সদর দপ্তরে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন। অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন) হিসেবেও তার কাজের প্রশংসা ছিল সব মহলেই। ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে হাবিবুর রহমানের।

কেএস 

Link copied!