Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪,

বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নিজস্ব প্রতিবেদক:

এপ্রিল ৩০, ২০২৪, ০৭:৫৯ পিএম


বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ

বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতি বছরের ন্যায় চলতি বছরেও ২০ মে হতে ২৩ জুলাই ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত মোট ৬৫ (পঁয়ষট্টি) দিন সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যে কোন প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান।

আজ মঙ্গলবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে  মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান এর সভাপতিত্বে এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোহাং সেলিম উদ্দিন এর সঞ্চালনায় এ সম্পর্কিত একটি আলোচনা সভা শেষে একথা জানান মন্ত্রী।

সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই আহরণের স্বার্থে সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধকালীন সময়ে শুধু আইন প্রয়োগ নয় বরং জেলেদের জীবিকা নির্বাহের জন্য এসময় ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করা হবে। এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সামাজিক ক্যাম্পেইন চালানো হবে বলেও জানান তিনি।

সামুদ্রিক মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণ নিশ্চিত করার জন্য বিভাগ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সকল সংস্থা এবং মৎস্য আহরণ, বিপণন ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত সকল অংশীজনকে ২০ মে হতে ২৩ জুলাই ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত মোট ৬৫ (পঁয়ষট্টি) দিন সমুদ্রে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহযোগিতার আহ্বান জানান মৎস্য মন্ত্রী। এছাড়াও মৎস্য আহরণে বিরত থাকা মৎস্যজীবিদের আপদকালীন বিকল্প আয় বা খাদ্য সহায়তা হিসেবে ভিজিএফ চাল বিতরণ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করেন এবং সভায় সরাসরি ও জুম প্লাটফর্মে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানান।

আলোচনা সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, র‌্যাব সদর দপ্তর ও বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশালের বিভাগীয় কমিশনারগণ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক, উপকূলীয় জেলাসমূহের জেলা প্রশাসকগণ, উপপরিচালক, মৎস্য অধিদপ্তর (চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল) ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তাগণসহ মৎস্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এবং মৎস্য আহরণের সাথে সম্পৃক্ত বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশন, মেরিন হোয়াইট ফিশ ট্রলার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকারী বোট মালিক সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

বিআরইউ

Link copied!