আমার সংবাদ ডেস্ক
মে ২১, ২০২৫, ১০:৩৮ এএম
আমার সংবাদ ডেস্ক
মে ২১, ২০২৫, ১০:৩৮ এএম
বাংলাদেশে স্যাটেলাইটভিত্তিক উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংক এখন বাণিজ্যিকভাবে চালু হয়েছে। ইলন মাস্কের মালিকানাধীন এ সেবাটি শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
স্টারলিংকের সংযোগ পেতে হলে ব্যবহারকারীকে সরাসরি তাদের ওয়েবসাইট (starlink.com)-এ গিয়ে ‘রেসিডেনশিয়াল’ অপশনে নিজের অবস্থান নির্ধারণ করতে হবে।
তারপর ‘অর্ডার নাউ’ অপশন থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে চেকআউট করতে হবে। অনলাইনে টাকা পরিশোধের পর ‘প্লেস অর্ডার’ অপশন চেপে অর্ডার চূড়ান্ত করতে হবে।
অর্ডার নিশ্চিত হওয়ার পর তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে সংযোগ সেট (ডিভাইস) গ্রাহকের ঠিকানায় পৌঁছে যাবে। স্টারলিংক কর্তৃপক্ষের দাবি, নির্দেশনা অনুসরণ করে ব্যবহারকারী নিজেই সহজে ডিভাইসটি সেটআপ করতে পারবেন।
প্রাথমিকভাবে ডিভাইস সেটআপ বাবদ এককালীন খরচ হবে ৪৭ হাজার টাকা। মাসিক খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে দুটি প্যাকেজে—
‘রেসিডেন্স’ প্যাকেজে মাসে ৬ হাজার টাকা,
‘রেসিডেন্স লাইট’ প্যাকেজে মাসে ৪ হাজার ২০০ টাকা।
প্রাথমিকভাবে শুধুমাত্র স্থায়ী সংযোগ (রেসিডেন্সিয়াল) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ সংযোগ (‘রোম’ সার্ভিস) এখনো বাংলাদেশে চালু হয়নি।
ভাগাভাগি করে ব্যবহার করা যাবে কি?
হ্যাঁ, স্টারলিংকের সংযোগ একটি এলাকায় একাধিক পরিবার ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতে পারবেন। একটি সংযোগ থেকে শহরে ২০ থেকে ৫০ মিটার, আর গ্রামীণ অঞ্চলে ৫০ থেকে ৬০ মিটার পর্যন্ত ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে।
সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘স্টারলিংকের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ডিজিটাল সংযুক্তি সহজ হবে। বিশেষ করে যেসব এলাকায় অপটিক্যাল ফাইবার বা মোবাইল নেটওয়ার্ক পৌঁছায় না, সেখানে স্টারলিংক হবে বড় সমাধান।’
বিশ্বজুড়ে দুর্গম অঞ্চলে দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে স্টারলিংক ইতিমধ্যেই সমাদৃত। বাংলাদেশে এ সেবা চালু হওয়ায় পার্বত্য অঞ্চল, চরাঞ্চল ও প্রত্যন্ত গ্রামে ডিজিটাল সেবার প্রসার ঘটবে। স্টারলিংক জানায়, তাদের সংযোগে সর্বোচ্চ ৩০০ এমবিপিএস গতিতে সীমাহীন ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে।
দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ছাড়াও ভুটান ও শ্রীলঙ্কায় ইতিমধ্যেই স্টারলিংক বাণিজ্যিক সেবা চালু করেছে।
বিআরইউ