ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

জনপ্রিয়তা বাড়ছে এনসিপির, কমছে বিএনপি-জামায়াতের

আমার সংবাদ ডেস্ক

আমার সংবাদ ডেস্ক

আগস্ট ১১, ২০২৫, ০৮:১৬ পিএম

জনপ্রিয়তা বাড়ছে এনসিপির, কমছে বিএনপি-জামায়াতের

গত বছরের অক্টোবরের তুলনায় বর্তমানে দেশের অন্যতম বড় দল বিএনপির জনপ্রিয়তা কমলেও তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে। 

সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের অক্টোবরে বিএনপির জনপ্রিয়তা ছিল ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ, যা ২০২৫ সালের জুলাইয়ে নেমে এসেছে ১২ শতাংশে। জামায়াতের জনপ্রিয়তা ১১ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৪ শতাংশে। 

অপরদিকে এনসিপির জনপ্রিয়তা ২ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ২ দশমিক ৮ শতাংশ। তবে ‘কোন দলকে ভোট দেবেন’—এমন প্রশ্নে এখনো সিদ্ধান্ত নেননি ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ উত্তরদাতা।

সোমবার আগারগাঁওয়ের জাতীয় আর্কাইভ মিলনায়তনে ‘বিআইজিডি পালস সার্ভে’–এর ফলাফল প্রকাশ করা হয়। যৌথভাবে এই আয়োজন করে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) এবং ভয়েস ফর রিফর্ম। 

‘জনগণের মতামত, অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশা: জুলাই ২০২৫’ শীর্ষক জরিপে অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মদক্ষতা, জনগণের সংস্কার প্রত্যাশা এবং আগামী নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর জনসমর্থন বিষয়ে মতামত নেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইজিডির ফেলো সৈয়দা সেলিনা আজিজ। 

উপস্থিত ছিলেন ভয়েস ফর রিফর্মের সহ-আহ্বায়ক এ কে এম ফাহিম মাশরুর, বিআইজিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মিরাজ এম হাসান ও আসিফ শাহান।

সারা দেশের ৬৪ জেলায় ৫ হাজার ৪৮৯ জন নারী ও পুরুষের মধ্যে চলতি বছরের ১ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত টেলিফোনে জরিপটি পরিচালিত হয়।

জরিপের ফলাফলে বলা হয়, আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে ২০২৪ সালের অক্টোবরে আওয়ামী লীগের সমর্থন ছিল ৮ দশমিক ৯ শতাংশ, যা ২০২৫ সালের জুলাইয়ে নেমে এসেছে ৭ দশমিক ৩ শতাংশে। জাতীয় পার্টির সমর্থন ২ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে কমে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অন্যান্য ইসলামিক দলের সমর্থন ২ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে নেমে হয়েছে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। অন্যান্য দলের প্রতিও সমর্থন কমেছে। ‘কাকে ভোট দেবেন’—এমন প্রশ্নে উত্তর দিতে রাজি হননি ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ উত্তরদাতা, যা গত অক্টোবরে ছিল ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবরে এনসিপি রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ না করলেও জাতীয় নাগরিক কমিটির ব্যানারে প্রেশার গ্রুপ হিসেবে সক্রিয় ছিল।

জরিপে আরও প্রশ্ন করা হয়, “আপনার নির্বাচনী এলাকায় কোন দলের প্রার্থী জিতবে বলে মনে করেন?”—উত্তরে ৩৮ শতাংশ বলেন বিএনপির প্রার্থী, ১৩ শতাংশ জামায়াতের, ৭ শতাংশ আওয়ামী লীগের, ১ শতাংশ এনসিপির এবং ৩ শতাংশ অন্যান্য দলের প্রার্থী জিতবে। ২৯ শতাংশ ‘জানি না’ উত্তর দেন, আর ৯ শতাংশ প্রশ্নের উত্তর দেননি।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে আশাবাদী ৭০ শতাংশ মানুষ। তাঁদের মতে, নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ। অন্যদিকে ১৫ শতাংশ মনে করেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৫১ শতাংশ চান সংস্কারের পর নির্বাচন, ১৭ শতাংশ চান কিছু জরুরি সংস্কারের পর নির্বাচন। নির্বাচন ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে হওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন ৩২ শতাংশ, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ১২ শতাংশ, জুনের মধ্যে ১১ শতাংশ এবং ডিসেম্বর ২০২৬ বা তার পরে নির্বাচনের পক্ষে ২৫ শতাংশ।

জরিপের বিষয়ে সৈয়দা সেলিনা আজিজ বলেন, বর্তমানে সমস্যার ধরন বহুমাত্রিক এবং অর্থনীতির একতরফা প্রভাব কিছুটা কমেছে। এই বহুমাত্রিক সমস্যার কেন্দ্রে রয়েছে রাজনীতিসংক্রান্ত ইস্যু, যার মধ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অস্থিতিশীলতা প্রধান। এসব কারণে অন্তর্বর্তী সরকারের গ্রহণযোগ্যতা কমেছে।

তিনি আরও বলেন, “মানুষ এই অস্থিতিশীলতার সমাধান খুঁজছে দুইভাবে—এক, নির্বাচন; দুই, সংস্কার। যদিও মানুষ নির্বাচনমুখী, আমাদের জরিপে দেখা গেছে একটি বড় অংশ এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ভোটের ক্ষেত্রে যোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন বড় প্রভাব ফেলতে পারে।”

ইএইচ

Link copied!