Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

বাংলাদেশ হবে নগদবিহীন

তাহমিদা সুলতানা মিশু

তাহমিদা সুলতানা মিশু

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২, ০৯:১২ পিএম


বাংলাদেশ হবে নগদবিহীন

বাংলাদেশের গল্প নিরলস পুনর্বিবেচনার একটি। বাংলাদেশের উচ্চভিলাষী ডিজিটালাইজেশন দৃষ্টিভঙ্গি। যা ২০০৮ সালে প্রথম গৃহীত হয়েছিল, পরবর্তীতে দেখা গিয়েছে এক বদলে বাংলাদেশের। সম্প্রতি বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টার দ্বারা স্পষ্ট করা হয়েছে, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের পরবর্তী স্বপ্ন হলো একটি নগদবিহীন সমাজ তৈরি করা। মূলত নগদবিহীন সমাজ বলতে ব্যাংক নোটের পরিবর্তে ডিজিটাল বা ইলেকট্রিক পরিষেবার মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করাকে বুঝায়। নগদবিহীন অর্থনীতির বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। যেমন- অপরাধ হ্রাস, নিরাপত্তা বৃদ্ধি, দুর্নীতি প্রতিরোধ, দ্রুত লেনদেন, নির্ভরযোগ্য তথ্য, ট্যাক্স সম্মতি বৃদ্ধি এবং দ্রুত আর্থিক অন্তর্ভুক্তি।

নগদবিহীন অর্থনীতিতে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হলে অবশ্যই আরো তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণ সাধন প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে একটি সীমানায় দেখা যায়, গত ১২ বছরে আইসিটি বিভাগ বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত ও আর্থিক খাতে অকল্পনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। শুধুমাত্র তথ্য প্রযুক্তির কারণেই দেশে তখন প্রায় ৪ কোটি মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহক এবং মোবাইল ব্যাংকিং টার্নওভার প্রায় ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। সুতরাং যদি মোবাইল ব্যাংকিং এর মধ্যে সাইবার সিকিউরিটি ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করা যায়, সেক্ষেত্রে নগদবিহীন লেনদেনকে আরও দ্রুত ত্বরান্বিত করা সম্ভব। কারণ নগদবিহীন লেনদেনগুলো মূলত মোবাইলের মাধ্যমেই করা হবে। তাই যদি প্রশাসন নগদবিহীন অর্থনীতির উপর গুরুত্ব আরোপ করে, তাহলে বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশন লক্ষমাত্রা ২০৩০ এ আরো সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হবে।

নগদবিহীন অর্থনীতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের বাংলাদেশ নতুন একটি সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্ত উন্মোচন করতে পারবে। সুতরাং বহিঃবিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের নগদবিহীন অর্থনীতি ও সমাজ প্রণয়নে আরও মনোযোগী হওয়া উচিত।  

শিক্ষার্থী: ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

কেএস

Link copied!