Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

জাতিসংঘ থেকেই মোক্ষম জবাব এলো

অজয় দাশগুপ্ত

অজয় দাশগুপ্ত

অক্টোবর ১৭, ২০২২, ১১:৩৭ এএম


জাতিসংঘ থেকেই মোক্ষম জবাব এলো

জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। ভোট দিয়েছে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য সংরক্ষিত আসনে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ১৬০ ভোট পেয়েছে। আমাদের পেছনে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনামের মতো সামরিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশ। যখন দেশের ভেতরের একটি গোষ্ঠী এবং যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’, তখন বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের ওপর আস্থা রেখেছে। এর প্রধান কারণ দুটি— অর্থনৈতিক ও সামাজিক নানা সূচকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান যে ক্রমশ উন্নত হচ্ছে, তা বুঝতে পারা এবং আমাদের কূটনৈতিক দক্ষতা। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে কোনো নির্বাচনে জয়ী হতে হলে সদস্যদের মধ্যে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে হয়।

আমাদের মনে আছে, বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনকালে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা এবং ধর্ষণের প্রত্যক্ষ সহযোগী ও অংশীদার সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ২০০৪ সালে ইসলামি সম্মেলন সংস্থা বা ওআইসির মহাসচিব পদে প্রার্থী করা হয়েছিল। তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তার সংসদবিষয়ক উপদেষ্টাকে জয়ী করানার জন্য বিপুল অর্থ ব্যয়ে নানা দেশে দূত প্রেরণ করেছিলেন। কিন্তু তখন এ জোটের সদস্যরা বাংলাদেশের ওপর আস্থা রাখেনি।

২০১৩ সালের মে মাসে হেফাজতে ইসলাম নামের একটি সংস্থা ব্লাসফেমি আইন প্রবর্তন, নারীদের শিক্ষা ও চাকরির সুযোগ কেড়ে নেয়া প্রভৃতি দাবিতে ঢাকার শাপলা চত্বরে সমাবেশ ডেকেছিল। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামি এ সমাবেশকে শেখ হাসিনার সরকার পতনের জন্য ব্যবহার করতে অপচেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃঢ় পদক্ষেপের কারণে তা ব্যর্থ হলে বিএনপি ও তার সহযোগীদের পক্ষ থেকে অন্তত ‘তিন হাজার লোককে হত্যা’র মিথ্যা অভিযোগ করা হয়। কয়েকটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাও এ নিয়ে সোচ্চার হয়। কিন্তু দেশ-বিদেশের অনেক অনুসন্ধানেও মৃতের সংখ্যা হাতেগোনা কজনের বেশি পাওয়া যায়নি। এসব মৃত্যুর পেছনেও হেফাজতে ইসলাম ও তার মিত্রদের দায় ছিল— সেটাও প্রমাণিত।

কিন্তু বিস্ময়ের বিষয় হলো, যেসব মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে সক্রিয় ছিল, যুক্তরাষ্ট্র সরকার কিংবা ইউরোপীয় ‘উন্নত’ দেশগুলো তাদের সমালোচনা করেনি; বরং ‘মানবাধিকার রক্ষায় চ্যাম্পিয়ন এনজিও’ হিসেবে আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা দিয়েছে ও দিয়ে যাচ্ছে।  এটাও লক্ষণীয় যে, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সবচেয়ে বেশি ঘটনা সামরিক শাসন ও জরুরি আইন বলবৎ থাকার সময়ে ঘটলেও ওই সময়ের শাসকরা পাশ্চাত্যের সবচেয়ে বেশি পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে।

জিয়াউর রহমান কীভাবে ক্ষমতা নিয়েছিলেন, তার বিবরণ রয়েছে অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের গ্রন্থে। তিনি লিখেছেন, ১৯৭৬ সালের ২৮ নভেম্বর রাতে জিয়া ডেপুটি চিফ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল এরশাদ, চিফ অব স্টাফ আবুল মঞ্জুর, নবম ডিভিশনের কমান্ডার জেনারেল মীর শওকত আলী, নৌ ও বিমানবাহিনীর দুই প্রধান এবং প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী বিচারপতি সাত্তারকে নিয়ে বঙ্গভবনে যান। তিনি প্রেসিডেন্টের প্রতি প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের পদ ছেড়ে দিতে বলেন, কিন্তু সায়েম জিয়ার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন। আসলে জিয়ার দরকার ছিল কেবল ক্ষমতা আর প্রকৃত ক্ষমতা।

জিয়াউর রহমান ক্ষমতা সংহত রাখার জন্য বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন, পুরস্কৃত করেছেন। ১৯৭৭ সালের অক্টোবর মাসে ‘সেনা অভ্যুত্থান’ ব্যর্থ করে দেয়ার পর প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য সশস্ত্রবাহিনীর এক হাজারের বেশি অফিসার ও জওয়ানকে প্রহসনের বিচারে হত্যা করেছেন। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ রেখেছেন, সংবাদপত্র এবং বেতার- টেলিভিশনের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছেন। তিনি কেবল ‘বঙ্গবন্ধু বা জাতির পিতা’ বলাই নিষিদ্ধ করেননি, ‘শেখ মুজিবুর রহমান’ নামটি উচ্চারণও দণ্ডনীয় ঘোষণা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র এবং তার বন্ধুদের কাছে এসব নিন্দনীয় ছিল না। বরং শেখ হাসিনা নির্বাচনি অঙ্গীকার রক্ষার জন্য ২০১০ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে উদ্যোগী হলে এসেছে পদে পদে বাধা।

২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ‘মিরপুরের কসাই’ হিসেবে পরিচিত কাদের মোল্লার ফাঁসির দণ্ড কার্যকর না করার দাবি জানিয়ে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১২ ডিসেম্বর ফোন করে বলেছিলেন— ‘জামায়াতে ইসলামী নেতা আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হলে এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে, যা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্ধারিত নির্বাচনি প্রক্রিয়া বিঘ্নিত করবে।’ একাত্তরের গণহত্যাকারীদের দল জামায়াতে ইসলামীও তখন একই ধরনের হুমকি দিয়ে কথা বলত। তারা বলেছিল— যুদ্ধাপরাধের বিচার হলে গৃহযুদ্ধ বাঁধিয়ে দেবে।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যা বলছে, তাতে বাস্তবতার প্রতিফলন নেই; বরং শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি এক ধরনের বিদ্বেষের প্রতিফলন— এমন মনে করছেন অনেকে। জাতিসংঘের সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। সেখানে বসেই সাধারণ পরিষদের সদস্য দেশগুলো যোগ্য জবাব দিয়েছে বাংলাদেশকে মানবাধিকার কাউন্সিলে নির্বাচিত করে। যুক্তরাষ্ট্র কিংবা জাতিসংঘ অথবা অন্য কোনো দেশ বা আন্তর্জাতিক সংস্থা যাচাই-বাছাই করে কোনো অভিমত প্রকাশ করবে— এটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু এ কথাটি বলেই বিপদে পড়েছেন মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল। তাকে বিএনপির শীর্ষ পর্যায় থেকে ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ আখ্যায়িত করা হয়েছে।

প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন বিএনপি আমলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রসঙ্গ টেনে আনায় তাকে হুমকি দেয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে নিরন্তর গবেষণায় নিয়োজিত শাহরিয়ার কবিরকেও বিএনপির রক্তচক্ষু দেখতে হয়েছে। মুনতাসীর মামুন ও শাহরিয়ার কবিরকে বিএনপি সরকার গ্রেপ্তার করেছিল ২০০২ সালের ডিসেম্বর মাসে। ধর্মান্ধ চরমপন্থিরা ময়মনসিংহের সিনেমা হলে শো চলাকালে বোমা হামলা চালিয়েছিল। কিন্তু ‘উদোরপিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে’র মতো মিথ্যা অভিযোগ এনে ওই দুজন সম্মানিত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছিল খালেদা জিয়ার সরকার। আওয়ামী লীগ নেতা সাবের হোসেন চৌধুরীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

বিএনপি কিন্তু ওই সময়ের অবস্থান থেকে সরে আসেনি। কদিন আগে দলের একাধিক নেতা ঘোষণা দিলেন, ‘১০ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ চলবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশে!’ কীভাবে এটা সম্ভব? এ সময়ের মধ্যে কী বিএনপির দাবিমতো নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হবে এবং তাদের তদারকিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়ী দল হিসেবে বিএনপি ক্ষমতায় বসবে?  বিএনপির আরেক নেতা হুম্মাম কাদের চৌধুরী চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশে হুমকি দিয়েছেন— আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়ার পর এই দলের নেতাদের ‘প্রত্যেক শহীদের বাড়িতে গিয়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হবে।’

এই ব্যক্তি ১৯৭১ সালে গণহত্যা ও ধর্ষণের দায়ে দণ্ডিত কুখ্যাত সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সন্তান। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতে যারা দণ্ডিত হয়েছে, তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলছেন বিএনপি নেতারা। এ ধরনের মন্তব্য কেবল একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত বা তাদের সমর্থকদের পক্ষেই বলা সম্ভব।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যেমন আগামী নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে, মানবাধিকার পরিস্থিতি কেমন, গণতান্ত্রিক চর্চা কেমন— এসব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত নিয়মিতই কথা বলেন। আমাদের সংবাদকর্মীদের কেউ কেউ এ বিষয়ে তাদের অভিমত আগ্রহভরে জানতে চান। বাংলাদেশকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে বিদেশিরা কিছু বললে কারো কারো পুলক অনুভব হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বব্যাংকের কয়েকজন পদস্থ ব্যক্তি ‘বাস্কেট কেস’ শব্দ ব্যবহার শুরু করেন। এর জবাব প্রদানের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী

ওয়াশিংটনকেই বেছে নিয়েছিলেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার পর ওয়াশিংটন সফরের সময় তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন— ‘কেউ কেউ বাংলাদেশকে ইন্টারন্যাশনাল বাস্কেট বলে উপহাস করেন। কিন্তু বাংলাদেশ বাস্কেট কেস নয়। ২০০ বছর ধরে বাংলাদেশের সম্পদ লুট করা হয়েছে। আমাদের সম্পদেই শ্রীবৃদ্ধি করা হয়েছে লন্ডন, ডান্ডি, ম্যাঞ্চেস্টার, করাচি, ইসলামাদের। আজও বাংলাদেশের অফুরন্ত সম্পদ রয়েছে। একদিন আমরা দেখাব বাংলাদেশ নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে।’

বাংলাদেশ যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, সেটা বিশ্ব স্বীকার করে নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বব্যাংক এক সময় বাংলাদেশ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে কী করবে এবং কী করবে না— সেটা ঠিক করে দিত। রাজস্ব ও উন্নয়ন বাজেটের আগে তারা দিত নির্দেশনা। শেখ হাসিনা এর পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। এমন স্বাধীনচেতা অবস্থান অনেক দেশের পছন্দ নাও হতে পারে। সৌদি আরবের মতো তেলসমৃদ্ধ দেশ যখন নিজের দেশে উৎপাদিত জ্বালানি তেলের দাম নিজেই নির্ধারণ করে, তখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হুমকি দেন, ‘সৌদি আরবকে এজন্য চরম মূল্য দিতে হবে’। বাংলাদেশ কেবল স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হচ্ছে। অথচ শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাংকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে ফেললেন। এটা হয়তো অনেকের পছন্দ নয়। তারা ভাবছে, আরও অনেক ‘দরিদ্র দেশ’ শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করতে পারে। এ কারণেই তাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা চলছে কি? তবে যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু মানবাধিকার প্রশ্নে নিজের দেশের দিকেও তাকাতে পারে।

বিশ্বের এটা জানা যে,  The United States has the highest incarceration rate in the world. About 25% of the worlds total prison population is in the United States, which holds about 2.19 million prisoners as of 2019.  বাংলাদেশের কারাগারগুলোতে দণ্ডপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দির সংখ্যা ৮০-৮২ হাজার। এটা নিয়েও কিন্তু আমরা উদ্বিগ্ন। আর যুক্তরাষ্ট্রে বন্দির সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। বছরে সেখানে খুন হয় ২০ হাজারের মতো নারী-পুরুষ।

যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনো দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা উদ্বেগজনক পর্যায়ে; এ কারণে আমাদের দেশে এমনটি ঘটবে— সেটা কাম্য নয়। আমাদের শাসনব্যবস্থায় উন্নতি ঘটাতে হবে এবং সে জন্য রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে সক্রিয় সবাইকেই ভূমিকা রাখতে হবে। জঙ্গিবাদ বাংলাদেশের বড় সমস্যা। আশির দশকে যুক্তরাষ্ট্র কুখ্যাত তালেবান বাহিনীকে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আনার জন্য প্রশিক্ষণ এবং অঢেল অস্ত্র ও অর্থ দিয়েছিল। সে সময় বাংলাদেশ থেকেও একদল জঙ্গি আফগানিস্তানে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এখনও এ ধরনের ধর্মান্ধ চরমপন্থি বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগের কারণ। এরা বারবার হিংসাত্মক ঘটনা সৃষ্টি করছে। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মতো রাজনৈতিক শক্তি রাজনৈতিক অঙ্গনে আপারহ্যান্ডে থাকলে তারা কি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে? যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারক মহলের বিষয়টি নিশ্চয়ই অজানা নয়। তাদের এমন কিছু বলা বলা উচিত হবে না, যাতে এ অপশক্তি আস্কারা পায়। সেটা কেবল বাংলাদেশ বা আশেপাশের দেশের জন্য নয়, ইউরোপ-আমেরিকার জন্যও উদ্বেগের। বিশ্বের বাস্তবতায় কিছু পরিবর্তন ঘটছে, তাদের কিন্তু এটা উপলব্ধি করা উচিত।

লেখক: একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক

Link copied!