ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা রবিবার, ০৩ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad
ছাত্রলীগ সভাপতি

বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত একটি নাটক, এটা বন্ধ করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ৩১, ২০২৪, ০৩:৪৩ পিএম

বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত একটি নাটক, এটা বন্ধ করতে হবে

বুয়েট ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ—হিযবুত তাহরীর, জেএমবি ও ছাত্র শিবিরের প্রশিক্ষিত ক্যাডাররা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। দেয়ালে পোস্টার লাগাচ্ছে, শিক্ষার্থীদের ইমেইলে দাওয়াত দিচ্ছে, টাঙ্গুয়ার হাওরে শিবির দেশ বিরোধী মিটিং করছে। তাই বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত একটি নাটক। এই নাটক বন্ধ করতে হবে। বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি চালু করতে হবে।

রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থি ও শিক্ষা বিরোধী সিদ্ধান্ত বলে আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

প্রতিবাদ সমাবেশে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ইমতিয়াজ রাব্বি যদি একা স্বাধীনতার স্বপক্ষে লড়াই করে আমরা তার পক্ষে লড়াই করবো। সংবিধান সমাবেশের স্বাধীনতা, সংগঠন করা স্বাধীনতা দিয়েছে। যারা সংবিধান বিরোধী সিদ্ধান্ত দিয়েছে তাদেরকে শিক্ষা দেওয়ার জন্যই আজকে আমরা শহীদ মিনারে হাজির হয়েছি। আমরা দাবি জানাই, বুয়েটসহ প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। ইমতিয়াজ রাব্বির হলের সিট ফিরিয়ে দিয়ে তাকে সসম্মানে বরণ করে নিতে হবে।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা নাকি বুয়েটে অনুপ্রবেশ করেছি। অনুপ্রবেশের রাজনীতি ছাত্রলীগ করে না। আমরা প্রবেশ করি এবং পরিবর্তন করি। একজন নাগরিক হিসেবে শুধু বুয়েট কেন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাওয়ার অধিকার আমাদের রয়েছে। আমি বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতেও অনেকবার বুয়েটে গিয়েছি। বুয়েটে যেতে হলে কাদের কাছে অনুমতি নেব আমরা? যারা ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চের বিরোধিতা করে তাদের কাছে?

তিনি আরও বলেন, আমরা জানি ছাত্ররাজনীতিতে নেগেটিভ এলিমেন্ট রয়েছে। তবে এটাকে সংস্কার করতে হবে আরও ভালো ছাত্ররাজনীতি দিয়ে। ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে সংবিধান অবমাননা হচ্ছে। যাচ্ছেতাই ক্যাম্পাস কালচার তৈরি ও ক্যাম্পাসে অন্ধকার রাজনীতি চর্চার সুযোগ করা হচ্ছে। 

আমরা চাই বুয়েটের শিক্ষার্থীরা স্মার্ট ছাত্ররাজনীতি উপহার দেবে। আপনারা আসুন, ছাত্ররাজনীতির স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করুন। আমরা ছাত্রলীগ গণতান্ত্রিকভাবে তা অনুসরণ করবো।

প্রতিবাদ সমাবেশে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, বাঙলা কলেজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগসহ আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইউনিট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সমবেত হন।

এসময় নেতাকর্মীদের ‘মৌলবাদের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘শিবিরের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘জায়ামাত-শিবির-রাজাকার, তাড়াতাড়ি বাংলা ছাড়’, ‘শিবিরে আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়।

সমাবেশে উপস্থিত হন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম (বাপ্পি), সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

এর আগে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সমাবেশের বিষয়ে জানানো হয়, বুয়েট কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির আবাসিক হলের বরাদ্দকৃত সিট বাতিল ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা-গণতন্ত্রকামী মানুষ ও ছাত্রসমাজ চূড়ান্তভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।

বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ বুয়েট প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে একটি অন্যায্য, অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থি ও সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক নৈতিক স্খলনজনিত শিক্ষাবিরোধী কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও এই রাষ্ট্রে সাধারণের শিক্ষার অধিকার একটি গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে, যার নেতৃত্ব দিয়েছে এ দেশের ছাত্রসমাজ। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, সাম্প্রতিককালে সংবিধান সম্মত ছাত্র রাজনীতি নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এমন কিছু কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে, আশ্রয়-প্রশ্রয় পাচ্ছে, যা ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের মহান সংবিধানের চূড়ান্ত লঙ্ঘন।

আরও বলা হয়, বুয়েট বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে এবং বাংলাদেশের জনগণের অর্থে পরিচালিত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাই সর্বাবস্থায় এই রাষ্ট্রের সংবিধান ও প্রচলিত আইনের দ্বারা এটি পরিচালিত হতে হবে। কিন্তু তা না করে, এই আইনের কোথাও ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা বুয়েটকে প্রদান করা না হলেও বুয়েট প্রশাসন বেআইনি ও অসাংবিধানিকভাবে তা বাস্তবায়ন করছে।

মূলধারার প্রকাশ্য ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে বুয়েটকে দেশ ও বিশ্ব মানবতাবিরোধী, নিষিদ্ধ, অন্ধকার জগতের বিভিন্ন সংগঠনের  কর্মকাণ্ড পরিচালনার তীর্থস্থানে পরিণত করা হয়েছে। 

আরএস

Link copied!