Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪,

পিছিয়ে পড়েও আর্সেনালের জয়

ক্রীড়া ডেস্ক

ক্রীড়া ডেস্ক

মার্চ ৫, ২০২৩, ০৭:৪১ পিএম


পিছিয়ে পড়েও আর্সেনালের জয়

প্রথমার্ধে ১টি, দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ১২ মিনিটের মধ্যে আরও একটি। প্রথমেই আর্সেনাল পিছিয়ে পড়েছিলো ২-০ গোলের ব্যবধানে। তাও টেবিলের একেবারে তলানীতে থাকা এফসি বোর্নমাউথের বিপক্ষে নিজেদের ঘরের মাঠেই। শেষ পর্যন্ত গানারদের হুঁশ ফেরে এবং শেষ আধাঘণ্টায় তিন গোল করে ৩-২ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে মাঠ ছেড়েছে স্বাগতিক আর্সেনাল। বোর্নমাউথের বিপক্ষে যখন আর্সেনাল মাঠে নেমেছিলো, তখনই তাদের সামনে চলে এসেছিলো ম্যানসিটির ম্যাচের রেজাল্ট।

নিউক্যাসলের বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। এর অর্থ, পয়েন্টের ব্যবধান দাঁড়িয়েছে কেবল ২-এ। এমন পরিস্থিতিতে ঘরের মাঠে পয়েন্ট টেবিলের একেবারে তলানীতে থাকা এফসি বোর্নমাউথের বিপক্ষে আর্সেনালের জয়টা ছিল অবশ্যম্ভাবী। আর টেবিলের শীর্ষে থাকা দল এবং একেবারে তলানীতে থাকা দলটির মধ্যে ব্যবধান কত তা পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে। এ কারণে হয়তো মাইকেল আর্তেতার শিষ্যরা হালকাভাবেই নিয়েছিলো ম্যাচটিকে। কিন্তু বাস্তবতা যে সব সময় এক হয় না তা আরও একবার প্রমাণ করে দিতে যাচ্ছিলো বার্নমাউথ।

টেবিল টপার আর্সেনালের জালে ২ বার বল জড়িয়ে দিয়ে বিজয়ের স্বপ্নে উদ্বেলিত হয়ে উঠেছিলো তারা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে টেনে নেয় গানাররা। যার ফলে দ্বিতীয়ার্ধে তারা করলো তিন গোল এবং ৩-২ ব্যবধানেই শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলো আর্সেনাল। এই জয়ের ফলে ম্যানসিটির সঙ্গে ৫ পয়েন্টের ব্যবধান ধরে রাখলে গানাররা। ২৬ ম্যাচ শেষে আর্সেনালের পয়েন্ট ৬৩ এবং সমান সংখ্যক ম্যাচে ম্যানসিটির পয়েন্ট ৫৮। ২৪ ম্যাচে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ম্যানইউ। ২-০ গোলে পিছিয়ে থাকার পর দারুণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলো আর্সেনাল সমর্থকরা।

যদি কোনোভাবে হেরেই যেতো তারা বোর্নমাউথের কাছে, তাহলে নিশ্চিত শিরোপা জয় অনেকটাই সঙ্কটে পড়ে যেতো আর্সেনালের। সে জায়গা থেকে গানারদের রক্ষা করলেন থমাস পার্টি, বেন হোয়াইট এবং রিয়েস নেলসন। মূলত ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে, ইনজুরি সময়ের ৭ম মিনিটে গিয়ে জয়সূচক গোলটি করে আর্সেনালকে জয় এনে দেন রিয়েস নেলসন। ম্যাচ শুরু হতে না হতেই স্বাগতিকদের স্তব্ধ করে দেয় বোর্নমাউথ। খেলার শুরুর মাত্র ৯ দশমিক ১১ সেকেন্ডের মাথায় গোল করে বসেন বোর্নমাউথের ফিলিপ বিলিং।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে এটা ছিল দ্বিতীয় দ্রুততম গোলের রেকর্ড। এর আগে ২০১৯ সালে ওয়াটফোর্ডের বিপক্ষে মাত্র ৭.৯৬ সেকেন্ডে গোল করে দ্রুততম গোলের রেকর্ড গড়েছিলেন সাউদাম্পটনের শেন লং। আর্সেনাল ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খেললেও বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ মিস হয় তাদের। বিশেষ করে বোর্নমাউথের গোলরক্ষক নেতো তাদের গোলের সুযোগ নষ্ট করে দেন।

দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পর, ম্যাচের ৫৭তম মিনিটে গোল করে বোর্নমাউথকে আবারও এগিয়ে দেন মার্কো সেনেসি। এর ৫ মিনিট পরই জেগে ওঠে আর্সেনাল। ৬২তম মিনিটে আর্সেনালের হয়ে প্রথম গোল করেন থমাস পার্টি। এরপর ৭০তম মিনিটে আর্সেনালকে সমতায় ফেরান বেন হোয়াইট। ২-২ গোলই ম্যাচ শেষ হতে যাচ্ছিল। তবে রেফারি ইনজুরি সময়টা একটু বাড়িয়েই দিলেন যেন। যদিও সেটা ছিল পুরো ম্যাচে নষ্ট হওয়া সময়েরই সমষ্টি। ৯০+৭ মিনিটে গানারদের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন নেলসন। এরপরই রেফারি ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজান এবং আর্সেনালও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে।

এবি

Link copied!