Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪,

ঢাকা জেলা আ.লীগের সম্মেলন আজ

জনস্রোতে সাংগঠনিক শক্তির মহড়া

মো. মাসুম বিল্লাহ

অক্টোবর ২৯, ২০২২, ১২:৪৬ এএম


জনস্রোতে সাংগঠনিক শক্তির মহড়া

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন আজ। রাজধানীর শেরেবাংলা নগর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার মাঠে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে। এতে লক্ষাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থক জমায়েতের মধ্য দিয়ে সাংগঠনিক শক্তির মহড়া দেবে আওয়ামী লীগ। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে বিরাট মঞ্চ ও প্যান্ডেল। সম্মেলনস্থলসহ আশপাশ এলাকা ছেয়ে গেছে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টারে। তৈরি হয়েছে শুভেচ্ছা তোরণ। এই সম্মেলনের মধ্যে নেতাকর্মীদের জনস্রোত তৈরির টার্গেট আওয়ামী লীগের।

সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ আট বছর পর আজ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলন উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এছাড়া সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মণি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, নসরুল হামিদ ও ডা. এনামুর রহমান। এতে সভাপতিত্ব করবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ঢাকা জেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ বেনজীর আহমদ।

জানা যায়, সভা-সমাবেশের মধ্য দিয়ে রাজনীতির মাঠে সরব ভূমিকা পালন করছে বিএনপি। বিভাগীয় সমাবেশের মধ্য দিয়ে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত দলীয় নেতাকর্মীদের চাঙা করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দলটির শীর্ষ পদধারী নেতারা। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় দলটি মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে। এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে সরকারি দল আওয়ামী লীগকে নিজেদের সাংগঠনিক শক্তির প্রদর্শন দেখাচ্ছে বিএনপি। একইসাথে সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করতে আন্দোলন আরও জোরদার করার তাগিদ দলটির। 

এমন অবস্থায় বিএনপির এসব কর্মকাণ্ড ভালোভাবে নিচ্ছে না আওয়ামী লীগ। ফলে  মাঠের রাজনীতিতে বড় ধরনের সভা-সমাবেশ করতে চায় ক্ষমতাসীনরা। বড় জমায়েতের মধ্য দিয়ে তৈরি করতে চায় নেতাকর্মীদের জনস্রোত। এর অংশ হিসেবে আজ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে লক্ষাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থক জমায়েতের মধ্য দিয়ে সাংগঠনিক শক্তির মহড়া দেবে ক্ষমতাসীন দলটি।

গতকাল আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমকে বলেন, জনসমাগম কাকে বলে— তা আগামীকাল (আজ শনিবার) থেকে বিএনপিকে বুঝিয়ে দেয়া হবে। বিএনপির সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, বিএনপি কোনো কোনো সমাবেশে ১০ লাখ লোকের টার্গেট করলেও এক লাখও হয়নি। আবার কোথাও পাঁচ লাখ টার্গেট করেও এক লাখের অর্ধেক হয়নি। এটাই তো বিএনপির সমাবেশের চেহারা। আপনারা (বিএনপি) ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন  ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানার সম্মেলনের দিকে তাকান। দেখবেন কত হাজার লোক হচ্ছে সেখানে। সেগুলো পত্রপত্রিকা ও মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে, তাও দেখুন।

এদিকে দীর্ঘদিন পর সম্মেলনে বসে নেই সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ শীর্ষ পদধারী নেতারা। তারা নিজেদের ব্যক্তিগত অবস্থানের জানান দিতে শেষ মুহূর্তেও প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এতে সভাপতি পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে দুজনের নাম বেশি শোনা যাচ্ছে। তারা হলেন  বর্তমান সভাপতি বেনজীর আহমদ ও জেলা আওয়ামী লীগের ১ নম্বর সদস্য এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী কেরানীগঞ্জের নসরুল হামিদ বিপু, এমপি। 

সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, মাসুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের নাম শোনা যাচ্ছে। শেষ মুহূর্তেও তাদের কর্মী-সমর্থকরা প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করতে আজ সম্মেলনের মঞ্চেই ঘোষণা হতে পারে নতুন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম।
 

Link copied!