ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad
রেড এলার্টের শীর্ষে বাংলাদেশি অপরাধী

আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিস

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

মার্চ ২১, ২০২৩, ১২:২২ পিএম

আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিস

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে হূদয়ের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড নোটিস জারি করেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কোতোয়ালি থানার এনায়েতবাজার পুলিশ ফাঁড়ির উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিস জারি করার জন্য ইন্টারপোলের কাছে পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল। কিছুক্ষণ আগে জানতে পেরেছি, সেটা ইন্টারপোল করেছে। আইজিপি বলেন, ‘আরাভ খানকে ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের আওতায় আনা হবে।’ দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা জড়িত কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, সেই বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির গ্রেপ্তারের বিষয়ে আইজিপি বলেন, মাহির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে আদালত থেকে তিনি জামিন পেয়েছেন। মামলাটি তদন্ত হচ্ছে।

এ সময় সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার যুবক রবিউল ইসলাম নিজের নাম, জাতীয়তা পরিবর্তন করে জোগাড় করেন ভারতীয় পাসপোর্ট। এ পাসপোর্টেই পাড়ি জমান সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। দুবাই পাড়ি জমিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে তিনি হয়ে ওঠেন ‘আলাদিনের চেরাগ’। দুবাইয়ে ‘আরাভ জুয়েলার্স’ নামের ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকের নাম আরাভ খান। মূলত তিনি বাংলাদেশের নাগরিক রবিউল ইসলাম। তবে ভারতে গিয়ে নাম পরিবর্তন করে রাখেন আরাভ খান।

পুলিশ বলছে, এ আরাভ খানই মূলত ঢাকার স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম। তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। এ ছাড়া তিনি কীভাবে দেশত্যাগ করলেন সেটিও খতিয়ে দেখা হবে। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর সম্প্রতি আলোচনায় আসেন আরাভ। বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে দিয়ে দুবাইয়ে তার শোরুম উদ্বোধন করা হবে— এই ঘোষণার মাধ্যমে আলোচনায় আসেন। কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমকেও দুবাইয়ে নেয়ার আমন্ত্রণ জানান তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণাটি ছড়িয়ে পড়ার পর নড়েচড়ে বসে গোয়েন্দারা।

দীর্ঘদিন ধরে যাকে খোঁজা হচ্ছিল তিনি দুবাইয়ে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ‘আরাভ জুয়েলার্স’ নামে সোনার দোকান দিতে যাচ্ছেন। কিনেছেন বাড়ি-গাড়ি। দুবাইয়ে রয়েছে তার কোটি কোটি টাকার ব্যবসা। দুবাইয়ের নিউ গোল্ড সুকে উদ্বোধন করা হয়েছে আরাভ জুয়েলার্সের। কয়েক দিন আগে এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের খ্যাতিমান তারকাদের সম্ভাব্য উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন রবিউল ওরফে আরাভ। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা টাওয়ারের ৬৫ তলায় ফ্ল্যাট কিনেছেন। যার নম্বর ৬৫১০। আরও চার-পাঁচটি ফ্ল্যাটের মালিক তিনি। পাশাপাশি রয়েছে একটি সুইমিংপুল ও বাগানসহ বড় ডুপ্লেক্স বাড়িও। তার ওই ফেসবুক পোস্ট দেখে অনেকেই চিনে ফেলেন, তিনি বাংলাদেশে পুলিশ কর্মকর্তা হত্যার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম। ফেরারি এক আসামি দুবাইয়ে গিয়ে কীভাবে এত টাকার মালিক হলেন, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

রেড এলার্টের শীর্ষে বাংলাদেশি অপরাধী : ব্যাংক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) নামে ইন্টারপোলে রেড নোটিস জারির পর ফের দেশে আলোচনায় এই আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা। আলোচিত ও সমালোচিত দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাফ খান ওরফে রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে হূদয়ের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড নোটিস জারির পর এই আলোচনার পালে হাওয়া লেগেছে।

গতকাল সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানা এলাকার এনায়েত বাজার পুলিশ ফাঁড়ি উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের আরাভের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিস জারির তথ্য জানান আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে আরাভের বিরুদ্ধে এমন কোনো নোটিস সংস্থাটির ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়নি। ওয়েবসাইট ঘুরে দেখা যায়, বাংলাদেশ সংস্থাটির কাছে চেয়েছে এমন ৪৭ জন এবং বাংলাদেশে জন্ম এমন ৬২ ব্যক্তিসহ ১৯৫টি সদস্য দেশের সাত হাজার ১৭ জনের নাম ঝুলছে ইন্টারপোলের রেড নোটিস বোর্ডে। তবে ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে রেড নোটিসে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় সবার নাম থাকলেও অনেকের ছবি নেই। কে কোন জেলার ঠিকানায় তার উল্লেখ নেই। এমনকি কারো কারো পুরো নামও নেই। মূলত ১৯২৩ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়া এই সংস্থাটির প্রধান কাজ আন্তর্জাতিক পুলিশকে সহায়তা করা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়ের কাজ করে থাকে ইন্টারপোল।

জাতিসংঘের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক এই সংস্থায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা, মাদক ও মানবপাচার, অবৈধ অস্ত্র রাখা, বিস্ফোরক ও বিপজ্জনক অস্ত্র মজুত, টাকা ও স্ট্যাম্প জাল করা, পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা, আওয়ামী লীগের সভায় বোমা হামলা, যুদ্ধাপরাধ, ধর্ষণ, লুটপাট ও গণহত্যাসহ নানা অপরাধে জড়িত ব্যক্তির নাম রয়েছে। 

ইন্টারপোলের রেড নোটিসে তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে ফরিদপুরের রাজাকার আবুল কালাম আজাদ, রাজাকার জাহিদ হোসেন খোকন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজাকার মো. হোসেন, আওয়ামী লীগের সভায় গ্রেনেড হামলাকারী সিলেটের আবুল হারিছ চৌধুরী, টাঙ্গাইলের রাতুল আহমেদ বাবু, বগুড়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী কালা জাহাঙ্গীর, বঙ্গবন্ধু হত্যামামলায় সাজাপ্রাপ্ত নূর চৌধুরী, শরীফুল হক ডালিম, এমএ রাশেদ চৌধুরী, খান মোসলে উদ্দিন ওরফে খান মোসলেম উদ্দিন, খুনি জিসান আহমেদ, নবি হোসেন, প্রকাশ কুমার বিশ্বাস, তানভির ইসলাম জয়, শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, মানব পাচারকারী জাফর ইকবাল, তানজিরুলসহ ৪৭ জন।

 

Link copied!