ভাড়াটিয়া হয়ে ওঠে বাড়ি দখলের অভিযোগ

ইন্টিগ্রা টেকনোলজির চেয়ারম্যান আব্দুল বাকি ভূঁইয়া ও তার ছেলে ম্যানেজিং ডিরেক্টর শামছুল হক তপু সিঙ্গাপুর প্রবাসী রেজাউল করিমের উত্তর বাড্ডার বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে ওঠেন। এখন ভাড়া না দিয়ে উল্টো বাড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে।

রোববার (৯ এপ্রিল) কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটি (সিআরইউ) এর অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বাড়ি দখলের এ অভিযোগের বিষয় তুলে ধরেন ভুক্তভোগী প্রবাসী রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, আব্দুল বাকি ভূঁইয়া ও তার ছেলে শামছুল হক তপু ২০১৩ সালের ১ মার্চ চ ৬৬/১/এ, উত্তর বাড্ডা, গুলশান, ঢাকা-১২১২ এর বাড়ির তিনটি ফ্লোর মাসিক ভাড়া হিসেবে গ্রহণ করেন। এভাবে চলতে থাকাবস্থায় সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল ভাড়া চুক্তিমূলে পুনরায় ৩ বছরের বাড়ি ভাড়া নেয়। মাসিক ভাড়া নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ১৫ হাজার টাকা।

চুক্তি পরবর্তীতে নিয়মিত ভাড়া প্রদান করতে থাকাবস্থায় ২০২১ সালের মে মাসের পর থেকে তারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এবং কোনো প্রকার ভাড়া প্রদান না করে এখনো আমার বাড়িতে অবস্থান করতেছে। ২০২১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ২৪ মাসের ভাড়া বকেয়া হয়েছে ৩০ লাখ টাকা। গত বছর ৩ এপ্রিল চুক্তি মোতাবেক ভাড়ার মেয়াদ শেষ হয়। তবে ভাড়াটিয়া এখন বাসা ছাড়েনি। এমনকি ২০২১ সালের মে মাস থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস সহ মোট ২৪ মাসের মাসিক ভাড়া ৩০ লাখ টাকা প্রদান করেনি। ভাড়াটিয়া ইন্টিগ্রা কর্পোরেশন উক্ত বাড়িটি দখলের একটি পাঁয়তারা করছে।

রেজাউল করিম বলেন, আমি গত ৭ এপ্রিল সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় আসি এবং আমার বাড়িতে ঢুকতে চাইলে ভাড়াটিয়া আমাকে আমার বাড়িতে প্রবেশ করতে দেয়নি। বলে বাড়িটি নাকি তাদের এবং তারা নাকি বাড়িটি কিনে নিয়েছে। 

এদিকে এ ঘটনায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ইন্টগ্রা কর্পোরেশনকে নোটিশ করা হয় বলে জানান রেজাউল করিমের আইনজীবী আল-মামুন রাসেল।

তিনি বলেন, ইতিপূর্বে বিভিন্ন তারিখে ই-মেইলের মাধ্যমে বিষয়ে অবগত করার পরও তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই। যার প্রেক্ষিতে সিএমএম আদালতে ইন্টিগ্রা কর্পোরেশনকে বিবাদী করে একটি ক্রিমিনাল মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ইন্টিগ্রা কর্পোরেশনকে আদালত সমন ইস্যু করেন।

তবে তারপরও তারা আদালতে আসেননি। যার প্রেক্ষিতে আদালত আজকে (রোববার) ইন্টিগ্রা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আব্দুল বাকি ভূঁইয়া ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর শামছুল হক তপুর প্রতি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এদিকে ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদ করার জন্য ১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালত, ঢাকায় একটি ভাড়াটিয়া উচ্ছেদ মোকদ্দমা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান এ আইনজীবী।

এআরএস