ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

টাকার অভাবে প্রবাসে ফিরতে পারছেন না আন্দোলনে নিহত ছেলের লাশ দেখতে আসা বাবুল

জালাল আহমদ

জালাল আহমদ

সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৪, ০৭:৫২ পিএম

টাকার অভাবে প্রবাসে ফিরতে পারছেন না আন্দোলনে নিহত ছেলের লাশ দেখতে আসা বাবুল

কারফিউ ভঙ্গ করে মিছিল করায় গত ২০ জুলাই যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী বাবুল সরদারের ছেলে আব্দুর রহমান জিসান। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে বাংলাদেশে আসেন বাবুল।

এখন বিদেশে যাওয়ার টিকেট কেনার টাকা না থাকায় কর্মস্থলে ফিরতে পারছেন না তিনি। সঠিক সময়ে না ফিরলে চলে যাবে চাকরি।

জানা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে গত ১৯ জুলাই রাতে কারফিউ জারি করে সরকার। পরদিন কারফিউ ভেঙ্গে যাত্রাবাড়ী এলাকায় মিছিল করতে গেলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের গুলিতে আহত হন আব্দুর রহমান জিসান। গুরুতর আহত জিসানকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেই দিন রাতেই তাকে মৃত ঘোষণা করেন ডাক্তার।

পরদিন ২১ জুলাই রাতে লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

শেষবারের মতো ছেলের চেহারা দেখার জন্য ২২ শে জুলাই বিকালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে ফিরেন  বাবুল সরদার। ঐদিন সন্ধ্যায় জিসানের লাশ দাফন করা হয়।

ছেলের মৃত্যুর এক সপ্তাহ পরে ছেলের স্ত্রী শোকে আত্মহত্যা (সুইসাইড) করেন। ধারাবাহিক এসব ঘটনায় কারণে মানসিক এবং আর্থিকভাবে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হন বাবুল সরদার।

গত ২৪ আগস্ট বাবুল সরদারের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। নতুন করে এক মাসের জন্য ভিসা রেডি করেন তিনি।

এখন পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, সরকারের উপদেষ্টা কেউই তাদের বাসায় গিয়ে কোনো খোঁজখবর নেননি।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর প্রেসক্লাবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের একটি মিটিং হয়। সেই মিটিং এ সবার সামনে নিজের সন্তান শহীদ হওয়ার পর নিজের অসহায়ত্ব তুলে ধরেন তিনি। প্রবাসী কমিউনিটিসহ সবার কাছে বিদেশ যাওয়ার জন্য আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। 
বিদেশ যেতে তার খরচ হবে ১ লক্ষ ২১ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে ৩৫ হাজার টাকা তিনি ধার করেছেন ভিসা করে যাওয়ার জন্য। বাকি টাকার জন্য তিনি প্রবাসী, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠক, সমন্বয়ক, সরকারের উপদেষ্টা ও বিত্তবান ব্যক্তিদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন।

জিসানের বাবা বাবুল সরদার জানান, আমি একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা। দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকি। আমি আমার ছেলের চেহারা দেখার জন্য দেশে এসেছিলাম। এখন আপনারা আমাকে সাহায্য না করলে আমার বিদেশ যাওয়া সম্ভব না। আজকে দেশের দায়িত্ব পালনকারী সরকার যেন আমাকে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

বাবুল সরদারের বিকাশ নাম্বার: 01923669632 (পার্সোনাল নাম্বার)।

ইএইচ

Link copied!