নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ৬, ২০২৫, ০২:২৩ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ৬, ২০২৫, ০২:২৩ পিএম
রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানির ঈদ ঘিরে রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে শেষ মুহূর্তে জমজমাট বেচাকেনা চলছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকেই ছুটে যাচ্ছেন পছন্দের পশু কিনতে।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর সবচেয়ে বড় পশুর হাট গাবতলীতে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র—বেশিরভাগ ক্রেতা হতাশ হয়ে ফিরছেন গরুর সংকটে।
গাবতলী হাটের ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর নির্ধারিত স্থানগুলো সকালেই ফাঁকা হয়ে যায়। রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা থেকে আসা ক্রেতারা কাঙ্ক্ষিত গরু না পেয়ে পড়েন বিপাকে। অনেকেই অভিযোগ করছেন, হাটে পশু যেমন কম, তেমনই দামের ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। নতুন করে গরু না এলে বিকেলের মধ্যেই অনেক ক্রেতাকে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হতে পারে। তবে হাটে আরও পশু আসছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে, যা সংকট কিছুটা হলেও লাঘব করতে পারে।
চাহিদায় মাঝারি গরু, বড় গরু বিক্রিতে ধীরগতি
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ১ থেকে ২ লাখ টাকার গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এসব গরু খুব দ্রুত বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে, ৬ লাখ টাকার বেশি দামের গরু বিক্রিতে ভাটা পড়েছে। ক্রেতাদের আগ্রহ না থাকায় বিক্রেতারা শেষ মুহূর্তে কম দামে বিক্রি করতে নারাজ। তারা বলছেন, “এই দামে বিক্রি করলে বড় লোকসান হবে, তাই অপেক্ষা করছি।”
দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
ক্রেতাদের মতে, গরুর দাম তুলনামূলক বেশি হলেও ঈদের এত কাছে এসে দর কষাকষির সময় নেই। পছন্দের পশু পেলে বাজেটের কাছাকাছি দামেই কিনে নিচ্ছেন অনেকে। তবে কিছু ক্রেতা এখনও দরদাম নিয়ে ব্যাপারীদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন, কোথাও কোথাও দেখা যাচ্ছে ‘দড়ি টানাটানির’ দৃশ্যও।
গাবতলী হাটে ঘুরতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মিজানুর রহমান বলেন, “ছোট ও মাঝারি গরুর জন্য সকালে এসেছিলাম, কিন্তু এখন অনেকটাই ফাঁকা। কিছু গরু আছে, কিন্তু বাজেটের বাইরে।”
অন্যদিকে বিক্রেতা হাসান আলী বলেন, “সেলফি তোলার ভিড় তো গেল কয়েকদিন ধরেই ছিল। এখন যারা আসছেন, তারা কিনতে এসেছেন। তবে মাঝারি গরু না থাকায় তাদের সন্তুষ্ট করা যাচ্ছে না।”
চাপ সামাল দিতে পশু আসছে নতুন করে
হাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু আসার কথা রয়েছে। এতে করে কিছুটা হলেও চাহিদা মেটানো যাবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
ক্রেতা ও বিক্রেতারা বলছেন, শেষ মুহূর্তের এই বিশৃঙ্খলা এড়াতে আরও আগে থেকে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া উচিত ছিল। তবুও ঈদের আনন্দকে সামনে রেখে চলছে শেষ মুহূর্তের হিসাব-নিকাশ।
ইএইচ