Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫,

ঢাকায় কোরবানির পশুর সংখ্যা অর্ধেকে নেমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুন ৯, ২০২৫, ১০:৫৭ পিএম


ঢাকায় কোরবানির পশুর সংখ্যা অর্ধেকে নেমেছে

গত বছরের তুলনায় এ বছর রাজধানী ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় কোরবানির পশুর সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। ২০২৪ সালে দুই সিটিতে মোট ১২ লাখ পশু কোরবানি হলেও ২০২৫ সালে এই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৩২ হাজার ৮৩৪টি।

এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে কোরবানির পশু ছিল ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৮০টি, আর দক্ষিণ সিটিতে কোরবানি হয়েছে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৭৫৪টি পশু।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া জানান, ৭৫টি ওয়ার্ডে প্রথম দিনে (৭ জুন) কোরবানি হয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৩১৭টি পশু। দ্বিতীয় দিনে (৮ জুন) ৩১ হাজার ৭৪৫টি এবং তৃতীয় দিনে (৯ জুন) ১ হাজার ৬৯২টি পশু কোরবানি হয়।

তিনি জানান, পশুর ধরন অনুযায়ী পরিসংখ্যান না থাকলেও বর্জ্য অপসারণে শতভাগ সাফল্য এসেছে। সোমবার (৯ জুন) দুপুর ২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত মোট ৩১ হাজার ২২৬ মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০ হাজার মেট্রিক টন।

এ কাজে মোট ১২ হাজার ৮৫৩ জন কর্মী, ২ হাজার ৭৯টি যানবাহন এবং ৩৪৪টি যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হয়েছে। অস্থায়ী ৮টি পশুর হাটের বাঁশের খুঁটি ও অন্যান্য ভাসমান ময়লা অপসারণ কার্যক্রমও প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির নগর ভবনে স্থাপিত কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সরেজমিনে তদারকি করা হয়। প্রতিটি হাটে পৃথক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, তদারকি কমিটি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। ৮টি হাটে ৪০০ জন আনসার ভিডিপি সদস্য মোতায়েন ছিল।

এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. এজাজ জানান, উত্তর সিটিতে গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া কোরবানি হয়েছে, তবে কোনো উট কোরবানি হয়নি। বিস্তারিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী:

    গরু: ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৬৭৭টি

    ছাগল: ১ লাখ ৫৪৬টি

    মহিষ: ১ হাজার ৭৬২টি

    ভেড়া: ৪ হাজার ৫৭টি

তিনি আরও বলেন, পশুর সংখ্যা কম হলেও বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছে বেশি। ঈদের দিন দুপুর ২টা পর্যন্ত ২০ হাজার ৮৮৯ টন বর্জ্য সংগ্রহ করে ল্যান্ডফিলে ডাম্পিং করা হয়েছে। প্রথম দিনেই ধারণা ছিল বর্জ্যের পরিমাণ ২০ হাজার টন ছাড়াবে।

এজাজ বলেন, “বর্জ্য অপসারণের কার্যক্রম চলমান রাখা হবে, কারণ অনেক বাসিন্দা কোরবানির সময় ব্যবহৃত পাটিগুলো পরে ফেলে দেন, যা বর্জ্যের পরিমাণ বাড়াতে পারে।”

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পশু কোরবানির সংখ্যা হ্রাস পেলেও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে দুই সিটি করপোরেশন এবার যথেষ্ট সক্রিয় ও পরিকল্পিত ছিল। ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও পরিবেশ দূষণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে।

ইএইচ

Link copied!