উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি নিয়েও মতভেদ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ বলেছেন, কমিশনের বৈঠকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ এবং সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের প্রতি সমর্থন থাকলেও উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ রয়েছে। ঐকমত্য না হওয়ায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার কমিশনের ওপরই পড়েছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা জানান।

আলী রীয়াজ বলেন, কিছু দল ভোটের সংখ্যানুপাতে উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠার পক্ষে। আবার কেউ কেউ আসনের সংখ্যানুপাতে গঠনের প্রস্তাব করেছেন। যেহেতু এ বিষয়ে দলগুলো কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি, তাই উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া নিয়ে কমিশন আগামী রোববার (২০ জুলাই) সিদ্ধান্ত জানাবে। কমিশন আগামী দিনগুলোতে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবে এবং অনানুষ্ঠানিক ভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে। এছাড়া, দেশের গণআন্দোলনে বিশেষ করে গত বছরের গণঅভ্যুত্থানে নারীদের ভূমিকার কথা স্মরণ করে সাংবিধানিকভাবে তাদের মর্যাদা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছে কমিশন।

সংবিধান সংশোধনের বিষয়টি নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, সংবিধান সংশোধনের জন্য সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতার সমর্থন প্রয়োজন হবে। তবে কিছু সুনির্দিষ্ট অনুচ্ছেদ যেমন প্রস্তাবনা, অনুচ্ছেদ ৮, ৪৮, ৫৬, ১৪২ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা (অনুচ্ছেদ ৫৮ক, ৫৮খ এবং ৫৮ঙ) সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোটের প্রয়োজন হবে। আগামী সপ্তাহে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান কীভাবে নিযুক্ত হবেন, সে বিষয়ে একটি সমাধান আসবে।

এর মধ্যে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ভবিষ্যতে বাতিলের জন্য সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হওয়া এবং অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরবর্তী সময়ে যদি সংশোধনের প্রয়োজন হয় বা কোনো উদ্যোগ থাকে তার জন্য গণভোটের কোনো রকম দ্বিমত নেই।

ইএইচ