Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪,

রাজারহাটে ক্লিনিক রক্ষায় ফেলা হচ্ছে জিওব্যাগ

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

জুন ২৭, ২০২২, ০৯:৫৪ পিএম


রাজারহাটে ক্লিনিক রক্ষায় ফেলা হচ্ছে জিওব্যাগ

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা নদীর ভাঙন হতে গতিয়াশাম কমিউনিটি ক্লিনিক ভবনটি রক্ষা করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়নে ফেলা হচ্ছে জিওব্যাগ। 

গত ১ সপ্তাহ ধরে তিস্তা নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন প্রকট আকার ধারণ করে। তিস্তার কয়েকদিনের ভাঙনের মুখে পরেছে গতিয়াশাম কমিউনিটি ক্লিনিক ভবনটি। ক্লিনিকের গাঁ ঘেঁষে বয়ে চলা তিস্তা নদীর পানির অবিরাম স্রোতে বিলীন হয়েছে সেফটি ট্যাং। 

শাহিন আলম, রিয়াজুল ইসলাম, ছালামসহ একাধিক এলাকাবাসী বলেন, দুর্গম চরাঞ্চালে একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্র গতিয়াশাম কমিউনিটি ক্লিনিক। এটি নদীতে বিলীন হলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে আমাদের।

আমরা চাই ক্লিনিকটি ভাঙন হতে রক্ষা করা হউক। তিন বছর আগে এরকম একটি ক্লিনিক ভবন তিস্তায় বিলীন হয়েছিলো। এই ভবনটিও নদীতে বিলীন হলে আমরা যাবো কোথায়। গতবছর ক্লিনিক ভবনটি রক্ষার্থে এলাকাবাসীর উদ্যোগে বাঁশের বাঁধ নির্মাণ করেছিলাম এবার বুঝি রক্ষা নেই। 

সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, ক্লিনিক ভবনটি রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়নে এসও মারজানের উপস্থিতিতে জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে। 

মুঠোফোনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা এসডি মাহমুদ হাসান বলেন, ক্লিনিক ভবনটি রক্ষায় আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। গত ১ মাস ধরে ক্লিনিক এলাকায় ৩ হাজার ৯শ জিওব্যাগ ফেলানো হয়েছে। তিস্তার পানি নেমে না যাওয়া (সেপ্টেম্বর মাস) পর্যন্ত ভাঙন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গতিয়াশাম কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি আলতাফ হোসেন বলেন, আমি কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আসবাবপত্র সরিয়েছি। কমিটির লোকজনের সিদ্ধান্ত ও রেজুলেশন করে দরজা জানালাসহ সকল মালামাল খুলে রেখেছি। 

ক্লিনিক গ্রুপ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য মিনহাজুল ইসলাম বলেন, একটি চিঠি এসেছে সেখানে উল্লেখ আছে যা যা খুলে নেয়া যায় তা খুলতে। তাই আমরা চেয়ারম্যান ও স্বাস্থ্যের লোকের সঙ্গে আলোচনা করে ৫টি দরজা, বড় জানালা ১৪টি ও ছোট ১০টি জানালা খোলা হয়েছে, রেজুলেশনে তাই উল্লেখ আছে এবং সবকিছু ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকা আলতাফ হোসেনের কাছে রয়েছে।

রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মিজানুর রহমান আমার সংবাদকে বলেন, ভাঙনের আশংকা থাকায় কমিউনিটি গ্রুপে আলোচনা ও সিদ্ধান্তক্রমে আসবাবপত্র ও সকল মালমাল তালিকা করে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

এলাকাবাসীর গণ স্বাক্ষরিত নিলাম না দেয়ার জন্য একটি আবেদনও পেয়েছি, গত রোববার আমরা খোলা নিলাম আহ্বান করি। দর না মিলায় নিলাম প্রক্রিয়া সম্পন্ন হইনি এবং পুনরায় নিলাম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Link copied!