Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা পেয়ে দিরাই’র কপিল উদ্দিনের চোঁখে জল!

দিরাই (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

দিরাই (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

জুলাই ৫, ২০২২, ০৭:৩৫ পিএম


প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা পেয়ে দিরাই’র কপিল উদ্দিনের চোঁখে জল!

সুনামগঞ্জের দিরাই পৌরশহরের উলুকান্দি ব্র্যাক অফিস সংলগ্ন সড়কের পাশে ছোট্ট কুঁড়েঘরে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বসবাস করছেন দিনমজুর কপিল উদ্দিন। 

সুখে দুঃখে ডাল ভাত খেয়ে সুখেই দিনপাত করেছিলো মজুর কপিল উদ্দিনের পরিবার। কিন্তু বিধি বাম, বছর দেড়েক আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী কপিল উদ্দিন। অভাব-অনটন হয় তাদের সঙ্গী। 

এরই মাঝে স্মরণ কালের ভয়াবহ বন্যা ভাসিয়ে নেয় তার পরিবারের একমাত্র অবলম্বন ছোট্ট কুঁড়েঘরটি। আশ্রয় নেন স্থানীয় দিরাই দাখিল মাদ্রাসায়। ১৫ দিন পর আাশ্রয়কেন্দ্রে থেকে নিজ ঘরে ফিরেন কপিল উদ্দিন। 

সোমবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান মামুন তার বাড়িতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহায়তার ১০হাজার টাকার চেক কপিল উদ্দিনের হাতে তুলে দেন। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন-উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)অরুপ রতন সিংহ, সাংবাদিক সামছুল ইসলাম সরদার খেজুর, জিয়াউর রহমান লিটন , পৌর কাউন্সিলর আবুল কাসেম প্রমুখ। প্রধানমন্ত্রীর সহায়তার চেক হাতে নিয়ে আবেগ আপ্লূত হয়ে পড়েন কপিল উদ্দিন। দুচোখ অশ্রশিক্ত হয়ে পড়ে। 

জলভরা চোখে বলেন, যখন সুস্থ ছিলাম দিনভর পরিশ্রম করে ডালভাত খেয়ে সুখেই ছিলাম আমরা। বছর দেড়েক আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ি। অসহায় হয়ে পড়ে আমার পরিবার। সবশেষ কয়েক দিন আগের বন্যায় আমার ছোট্ট ঘরটি তছনছ করে দেয় । দিরাই মাদ্রাসায় আশ্রয় নিয়ে কয়েক দিন হয় বাড়ি ফিরি। আমার যে আছে বলতে কিছু নেই। আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহায়তা পেয়ে সত্যিই আমি খুব খুশি। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্যে ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। এর আগে ও আমাদের ইউএনও সাহেবের মাধ্যমে সমাজ সেবা অধিদপ্তর আমাকে বিশেষ সহায়তা দিয়েছে। সবার সহযোগিতায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে কোনো রকমে বেঁচে আছি। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান মামুন বলেন, বন্যার্তদের সহায়তায় সরকার পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিয়েছেন। আমরা সেনাবাহিনী, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক সহ সবার সহযোগিতায় অসহায়দের হাতে সহায়তা তুলে দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহায়তা তহবিল থেকে উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৩১৩ জন হতদরিদ্রের ১০হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে।

বসতবাড়ি সহ যাবতীয় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখতে আমরা কাজ শুরু করেছি। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে চাল, ডাল, শুকনো খাবার প্রতিদিন বিতরণ করা হচ্ছে। 

আমারসংবাদ/এআই

Link copied!