Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪,

ভূয়া ভূমিহীন সেঁজে খাস জমি দখলে নিতে ‘বন্দোবস্ত কেস’

মাসুম বিল্লাহ, গাইবান্ধা

মাসুম বিল্লাহ, গাইবান্ধা

আগস্ট ১৮, ২০২২, ০৩:১২ পিএম


ভূয়া ভূমিহীন সেঁজে খাস জমি দখলে নিতে ‘বন্দোবস্ত কেস’

গাইবান্ধায় জোতদার হওয়া সত্বেও ভূয়া ভূমিহীন সেঁজে প্রায় ছয় বিঘা খাস জমি বন্দোবস্ত নেয়ার জন্য ‘বন্দোবস্ত কেস’ করেছেন সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়নের কিশামত বালুয়া এলাকার মৃত ফইম উদ্দিনের তিন ছেলে ফয়জার রহমান, আবুল ফজল ও লাল মিয়া। এ ঘটনায় ওই বন্দোবস্ত ‘কেস’ ও কবুলিয়াত বাতিলসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন স্থানীয় ভূমিহীনরা।

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক মো.অলিউর রহমান।

এরআগে গত ১০ আগস্ট ওই এলাকার ভূমিহীনদের পক্ষে একই এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে ভূমিহীন জাফর আলী ও মৃত ইসমাইল ব্যাপারীর ছেলে ইয়াকুব আলী এই আবেদন করেন।

ভূমিহীনদের লিখিত ওই আবেদনে উল্লেখ করা হয়, সদর উপজেলার খোলহাটি ইউনিয়নের কিশামত বালুয়া (বড় ঘাট) এলাকার বেশকিছু ভূমিহীন কৃষক দীর্ঘদিন থেকে (জেলা-গাইবান্ধা, উপজেলা-গাইবান্ধা সদর, মৌজা কিসামত বালুয়া, জে এল নম্বর- ১২, খতিয়ান নম্বর-১, দাগ নম্বর-১২, জমি-০.৬৪০০ শতক) তফসিল খাস জমি  চাষাবাদ করে আসতে ছিলেন। কিন্তু ওই এলাকার ফয়জার রহমানসহ তারা তিন ভাই ভূমি অফিসের যোগসাজসে নিয়মবহির্ভূতভাবে ভূয়া  ভূমিহীন সেঁজে XIl-৪০৭ /৭৭-৭৮ নম্বর বন্দোবস্ত মামলা মূলে, বিনা সেলামিতে, তফসিল জমি বন্দোবস্ত গ্রহণ করে ১৯৭৭ সালের ২৫ অক্টোবর ১৭০৯৪-নম্বর কবুলিয়াত সম্পাদন করেন। অথচ অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সিএস আমল থেকেই জোতদার শ্রেনির ব্যক্তি। তাদের নামে ওই এলাকায় এবং আশেপাশের এলাকায় এসএ রেকর্ডভুক্ত অনেক জমি আছে। এছাড়া আবেদনে নিয়মবর্হিরভূতভাবে করা বন্দোবস্ত  মামলা ও কবুলিয়াত বাতিলসহ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনেরও আবেদন জানানো হয়। 

উল্লেখ্য, উক্ত তফসিল জমি নিয়ে সরকারিভাবে ইতোমধ্যেই গাইবান্ধা দেওয়ানী আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। যাহার নম্বর-২৩২/২১।

এসব অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে ফয়জার রহমান কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। এসময় ভূমিহীন না হয়েও নিজেকে কেন ভূমিহীন দাবি করছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে ফোন কেটে দেন তিনি।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান আমার সংবাদকে বলেন, ভূমিহীনদের উচ্ছেদে যারা পায়তারা করবে তারা যত শক্তিশালীই হোক না কেন তাদের কোন ছাড় নেই। ওই খাস জমি যদি ভূমিহীনদের বন্দোবস্ত থাকে তাহলে তারাই ভোগ করবে।

এসময় ভূমিহীনদের করা আবেদনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান জেলা প্রশাসক।

কেএস

Link copied!