Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪,

ফরিদপুরে স্ত্রী তালাক দেয়ায় স্বামীর আত্মহত্যা

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩, ০৭:২৬ পিএম


ফরিদপুরে স্ত্রী তালাক দেয়ায় স্বামীর আত্মহত্যা

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদী ইউনিয়নের পুর্ব সদরদী গ্রামে স্বামীকে স্ত্রী তালাক দেয়ায় স্ত্রীর বাড়ীর উপরে দাঁড়িয়ে বিষপান করে স্বামীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (২২ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে মঙ্গলবার(২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্বামী বিষপানে গুরুত্বর আহত হন। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরবর্তীতে তাকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বুধবার দুপুরে সে মারা যায়। ফরিদপুর কোতয়ালী থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করেছে।

স্থানীয় ও পরিবার সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের বিবিরকান্দা গ্রামের ইলিয়াছ মাতুব্বরের ছেলে নাজমুলের সাথে বিগত ৪ বছর আগে চুমুরদী ইউনিয়নের পুর্ব সদরদী গ্রামের হাসমত সিকদারের মেয়ে কনিকার বিবাহ হয়। বিবাহর পর নাজমুল শশুড় বাড়ী এলাকা ও নিজ বাড়ীর এলাকায় বেশ কয়েকটি মেয়ের সাথে পরোকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। স্ত্রী মনিকাসহ উভয় পরিবারের লোকজন তাকে বোঝানো সত্ত্বেও সে পরাকীয়া থেকে ফিরে আসে না।

এক পর্যায় মনিকা গত ২০ ফেব্রুয়ারি স্বামী নাজমুলকে লিখিতভাবে তালাক দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নাজমুল বিষের বোতল হাতে নিয়ে শশুড়বাড়ীতে গিয়ে উঠানে দাঁড়িয়ে বিষ পান করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদান করে। রাতে তার অবস্থা খারাপ হলে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে প্রেরন করা হয়।

স্ত্রী মনিকা জানান, আমার স্বামীর সাথে গত ৪ বছর যাবৎ আমার বিবাহ হয়েছে। বিবাহর পর থেকেই তার বাহিরের মেয়েদের প্রতি টান ছিল। আমি ও শশুড় বাড়ীর লোকজন তাকে অনেক বোঝাতে চেষ্টা করেও তাকে ঐপথ থেকে ফেরাতে পারি নাই। বাধ্য হয়ে ২ দিন আগে আমি তাকে তালাক দিয়েছি। তালাকের পর সে আমাকে ফোনে হুমকি দিয়েছিল যে আমি তোর বাড়ীর উঠানে বিষপান করে আত্মহত্যা করে তোকে দেখিয়ে নিব। বিষয়টি আমি আমার পরিবার ও শশুড় বাড়ীর লোকজনকে জানিয়েছি। হঠাৎ কাল দুপুরে আমাদের বাড়ীর উঠানে এসে সে এই কাজটি করে।

এব্যাপারে নিহত নাজমুলের বাবা ইলিয়াছ মাতুব্বর বলেন, উভয় পরিবারের মধ্যে ইতিমধ্যে একাধিকবার দরবার শালিস হয়েছে। ছেলে বিষ খেয়েছে সংবাদ শুনে তাকে নিয়ে চিকিৎসা দিয়েছিলাম। বিষপানের ১ দিনের মাথায় সে মারা গেছে।

এর সত্যতা নিশ্চিত করে চুমুরদী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নাসিম শিকদার মিলন বলেন, নাজমুলের পরিবার ও মনিকার পরিবারকে নিয়ে একাধীক বার দরবার শালিস করা হয়। নাজমুল উভয় পরিবারকে জিম্মি করে তার খেয়াল খুশি মত বেপরোয়া চলাচল করত।

আরএস

Link copied!