Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪,

লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতা হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

মে ৬, ২০২৩, ০৫:২০ পিএম


লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতা হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমাম হত্যা মামলায় রিমান্ডে থাকা দুই আসামির তথ্য অনুযায়ী একটি দু’নলা ও একটি এক নলা বন্দুকসহ ৫টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (৬ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন, পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ।

এসপি জানান, মামলার ৫ আসামি বর্তমানে রিমান্ডে রয়েছে। এরমধ্যে মামলার ২ নম্বর আসামি মশিউর রহমান নিশান ৫ দিনের ও ১৪ নম্বর আসামি আজিজুল ইসলাম বাবলু ৩ দিন রিমান্ডে রয়েছে।

বাবলুকে নিয়ে ৪ মে রাতে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে বের হয় পুলিশ। তার তথ্যমতে হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থলের অদূরে মাঠের পাশে কলাবাগান থেকে কলাপাতা মোড়ানো একটি দুনলা দেশীয় বন্দুক ও ৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

এদিকে রিমান্ড চলাকালীন নানান কৌশলে নিশানের কাছ থেকে অস্ত্রের সন্ধান নেওয়া হয়। ৫ মে রাতে আসামি নিশান ও রুবেল দেওয়ানকে নিয়ে অভিযানে বের হয় পুলিশ। নিশানের বাড়ির ঘরের পাশে একটি লাকড়ি ঘর থেকে একটি একনলা বন্দুক ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।

আদালতে জবানবন্দিতে মামলার ৩ নম্বর আসামি দেওয়ান ফয়সাল ও ১৮ নম্বার আসামি আলমগীর ওরফে কদু আলমগীর তথ্য দিয়েছিল হত্যাকান্ডে অন্যান্য অস্ত্রের সঙ্গে দেশীয় কিছু বন্দুক ব্যবহার হয়েছে। অস্ত্রগুলো যিনি সবাইকে দিয়েছেন তাকে গ্রেপ্তারে আমরা চেষ্টা করছি।

৮টি টিমে ৩৫ থেকে ৪০ জন সন্ত্রাসী এ হত্যাকাণ্ডে কাজ করে। যিনি তাদের অস্ত্র দিয়েছেন জবানবন্দিতে দেওয়ান ফয়সাল ও আলমগীর তার নাম বলেছে। এছাড়া অনেকের কাছেই দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র ছিল।

পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, আমরা অস্ত্র উদ্ধারে নেমেছি। সবগুলো অস্ত্রই আমরা উদ্ধার করবো। আমরা এক এক করে টার্গেট করছি। এতে আমাদের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। তদন্তের স্বার্থে অনেক কিছু গোপনীয় রাখা হচ্ছে।

জবানবন্দিতে কদু আলমগীর বলেছে, তার হাতে পিস্তল ছিল, একজনের হাতে বন্দুক ছিল। তারা যাওয়ার আগেই নোমান ও রাকিবকে হত্যা করা হয়েছে। সেহেতু তার অস্ত্র ব্যবহার হয়নি। ঘটনায় অনেক অস্ত্র ছিল। এক পার্টি না মারতে পারলে আরেক পার্টি মারতো তাদের। যেহেতু এক পার্টি অস্ত্র ব্যবহার করে ফেলেছে, সেহেতু অন্য পার্টির প্রয়োজন হয়নি। তবে সব অস্ত্রই ব্যবহারের জন্য আনা হয়েছে।

এআরএস

Link copied!