চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
আগস্ট ৫, ২০২৩, ০৪:৫৬ পিএম
চরফ্যাসন উপজেলার দক্ষিণ আইচায় পারিবারিক কলহের জের ধরে গলায় ফাঁস দিয়ে দীপ্তি রানী হাওলাদার (১৯) নামের এক গৃহবধুর আত্মহত্যা খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার(৪ আগষ্ট) বিকাল সাড়ে ৫ টায় দক্ষিণ আইচা থানার নজরুল নগর ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চর- হারিছ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূ নজরুল নগর ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রিপন চন্দ্র মিস্ত্রির স্ত্রী। নিহত দীপ্তি রানী হাওলাদার বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুধল ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ড সুন্দরকাটি গ্রামের সুমির হাওলাদারের মেয়ে।
দক্ষিণ আইচা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নেছার উদ্দিন বলেন, নজরুল নগর ইউনিয়নের চর-হারিছ গ্রামের নিরমল ডাক্তার বাড়ির টিন সেটের গৃহবধুর বসত ঘর থেকে নিহত দীপ্তি রানী হাওলাদার ও তার স্বামী রিপন চন্দ্র এবং শাশুড়ী তীর্থ রানীসহ বসবাস করতেন। মঙ্গলবার ৪ আগষ্ট বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় স্বামী রিপন চন্দ্র মিস্ত্রির বসত ঘরের বারান্দার আড়কাঠের সঙ্গে দীপ্তি রানী ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে শাশুড়ী তীর্থ রানী ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে পুলিশকে খবর দিলে দক্ষিণ আইচা থানা পুলিশ নিহত গৃহবধুর মরদেহটি উদ্ধার করেন।
নিহতের শাশুড়ী তীর্থ রানী জানান, গত চার মাস আগে আমার ছেলে রিপন চন্দ্র মিস্ত্রির সঙ্গে বরিশাল জেলার সুমির হাওলাদারের মেয়ে দীপ্তি রানীর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এরপর বিবাহ হয়। তখন থেকে তাদের সাংসারিক জীবন ভালোই চলছিল। হটাৎ মঙ্গলবার সকালে আমার ছেলের সঙ্গে দীপ্তি রানীর ঝগড়া হয়। ঝগড়াকে কেন্দ্র করে বাড়িতে আমার অনুপস্থিতির সুযোগে বিকালে আমার বসতঘরের বারান্দার আড়কাঠের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় দেখতে পেয়ে আমি ডাক চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে পুত্রবধূ দীপ্তি রানীরঝুলন্ত অবস্থায়উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেন।
দক্ষিণ আইচা থানার (ওসি) মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্যের কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানতে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরএস
