Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪,

টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢল

চকরিয়ায় পানিবন্দি ৫ লক্ষাধিক মানুষ

মোহাম্মদ উল্লাহ, চকরিয়া (কক্সবাজার)

মোহাম্মদ উল্লাহ, চকরিয়া (কক্সবাজার)

আগস্ট ৭, ২০২৩, ০৭:১৪ পিএম


চকরিয়ায় পানিবন্দি ৫ লক্ষাধিক মানুষ

গত ৫দিন ধরে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর এলাকাসহ ২ শতাধিক গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫ লক্ষাধিক মানুষ। সকালে মাতামুহুরী নদীতে লাকড়ী ধরতে গিয়ে শাহা আলম নামের পান ব্যবসায়ী নিখোঁজ হয়।

নিখোজঁ শাহা আলম লক্ষ্যারচর ইউনিয়নরে হাজি পাড়া গ্রামের মৃত. জাকের হোছাইনের ছেলে।

মাতামুহুরী নদীসহ উপজেলার বিভিন্ন ছোট বড় নদী দিয়ে উজান থেকে নেমে আসা পানি লোকালয়ে প্রবেশ অব্যাহ থাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এছাড়া এখনো টানা বর্ষণ অব্যাহত থাকার ফলে পাহাড় ধ্বসের আশংকা থাকায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে সরে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।

জানা যায়, দেশের অন্যান্য স্থানের মতো চকরিয়াতেও গত ৫ দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। ছড়াখাল ও নদী সমূহ ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টি ও ঢলের পানি পারছেনা। ফলে চকরিয়া পৌরসভাসহ উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের ২ শতাধিক গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ৫ লক্ষাধিক মানুষের বাড়িঘর ডুবে যাচ্ছে ও ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকার গ্রামীণ সড়কগুলো পানির নিচে তলিয়ে থাকায় যোগাযোগে বিছিন্ন রয়েছে।

গত বুধবার থেকে টানা ৫দিন ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে চকরিয়া পৌরসভা, উপজেলার সাহারবিল, পশ্চিম বড়ভেওলা, বদরখালী, কাকারা, সুরাজপুর-মানিকপুর, বরইতলী, হারবাং, চিরিঙ্গা, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল বিএমচর, ও পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের নিম্নাঞ্চল জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এসব গ্রামের নিচু এলাকার সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় মানুষ বিকল্প পথ হিসেবে নৌকা ও ভেলায় চড়ে যাতায়ত করছে। এখনো ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে।

সুরাজপুর-মানিকপুর, চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম জানান, ঢলের পানিতে ইউনিয়নের নিম্ন এলাকার প্লাবিত হয়ে শতাধিক গ্রাম তলিয়ে গেছে। পানিতে তলিয়ে গিয়ে বন্ধ রয়েছে অনেক এলাকার সড়ক যোগাযোগ। পশ্চিম বড়ভেওলার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা বলেন, ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে আমার ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরী জানান, ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে অনেক এলাকার সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন রয়েছে। কয়েকটি ইউনিয়ন মাতামুহুরী নদী ও শাখা নদী সংলগ্ন হওয়ায় ভারী বৃষ্টি হলে লোকালয়ে ঢলের পানি দ্রুত ঢুকে পড়ে।

হারবাং, ই্উনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহারাজ উদ্দিন মিরাজ জানায়, অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে আমার এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে গেছে। পানি বন্দী লোকজন বিকল্প হিসেবে নৌকা ও ভেলায় চড়ে চলাচল করছে।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে উপজেলায় ভারী বৃষ্টির ফলে পাহাড়ি ঢলের পানিতে বন্যা ও নদীভাঙন ও ভ‚মি ধ্বসের আশঙ্কা রয়েছে।

এআরএস

Link copied!