নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া
মার্চ ২১, ২০২৪, ০৮:০৬ পিএম
নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া
মার্চ ২১, ২০২৪, ০৮:০৬ পিএম
বহুল আলোচিত চাঞ্চল্যকর কুষ্টিয়ার কুমারখালীর যদুবয়রা ইউনিয়নের উত্তর চাঁদপুর গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম ওরফে নান্নু হত্যা মামলার প্রধান তিন আসামিকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে র্যাব-১২ কুষ্টিয়া।
র্যাব-১২ কুষ্টিয়া জানায়, মো. মারুফ হোসেনের দিক নির্দেশনায় বুধবার (২০ মার্চ) রাত আনুমানিক ১২টার দিকে র্যাব-১২’র সিপিসি-১, কুষ্টিয়া এবং র্যাব-৩, সিপিসি-৩ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় ঢাকা জেলার খিলগাঁও এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত হত্যাকাণ্ডে জড়িত এজাহার নামীয় পলাতক আসামি উত্তর চাঁদপুর গ্রামের মো. আতাহার আলী এর ছেলে মো. সবুজ (৪৩) হেলাল উদ্দিনের ছেলে মো. বাবু (২৫) এবং আতাহার আলীর ছেলে মো. সুমন (৪২), কে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও আসামি মো. সবুজ ও মো. সুমন এর নামে হত্যার চেষ্টা মামলাসহ আরো দুইটি করে মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের উত্তর চাঁদপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে মাছ ব্যবসায়ী মো. আমিরুল ইসলাম ওরফে নান্নু (৫২), গত ১৩ মার্চ তারিখে ইফতার শেষ করে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে কেশবপুরে তাঁর ইজারা নেওয়া পুকুরের মাছ পাহারা দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন।
আনুমানিক রাত সাড়ে ৯টার দিকে উত্তর চাঁদপুর এলাকায় পৌঁছালে সামাজিক দলাদলি ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাঁর মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে জোর করে পাশের একটি কলাবাগানে নিয়ে দুর্বৃত্তরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সেখানে তাকে পিটিয়ে ও ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর ভিমটিমকে ভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে ফেলে আসামিরা পালিয়ে যায়।
উক্ত হত্যার ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে নিহতের ভাই বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-১৫, তারিখ ১৪ মার্চ ২০২৪, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। হত্যাকাণ্ডের পর হতেই হত্যাকারীরা আত্মগোপনে চলে যায়। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এআরএস