ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

হাটহাজারীতে জামতল-রুদ্রপল্লী কুলালপাড়া সড়কের বেহাল দশা

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

জুন ৩০, ২০২৪, ০৩:২২ পিএম

হাটহাজারীতে জামতল-রুদ্রপল্লী কুলালপাড়া সড়কের বেহাল দশা

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ৪ ও ৫নং ওয়ার্ডের জামতল-রুদ্রপল্লী কুলাল পাড়া সড়কের বেহাল দশা। প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সড়কের কার্পেটিং উঠে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। সৃষ্ট খানাখন্দে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি স্থানীয় বাসিন্দা ছাড়াও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী ও সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বড় বড় কর্তারা ব্যবহার করেন। বিশেষ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময় চবির ১ নাম্বার সড়কের পাশাপাশি বিকল্প সড়ক হিসেবে এই সড়কটির ব্যবহার বহুগুণ বেড়ে যায়। এই সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও প্রাইভেট কারসহ ইঞ্জিন চালিত বিভিন্ন গাড়ি।

এতে প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে গাড়ির যন্ত্রাংশ, বিকল যন্ত্রপাতি পরিবর্তন করতে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ হচ্ছে গাড়ির মালিক ও চালকদের। সড়কটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নীপবন স্কুলের সামনে থেকে হাটহাজারী অক্সিজেন মহাসড়কের জামতল এলাকায় এসে সংযোগ হয়েছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সড়কে সৃষ্ট খানাখন্দে বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। এমতাবস্থায় যান চলাচলের কারণে গর্ত গুলো পর্যায়ক্রমে বড় হতে থাকে। যার ফলে পথচারীরা পায়ে হেঁটে চলাচল করতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে। গাড়িতে চরে যারা চলাচল করছে তারা শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। দ্রুত সংস্কার করা না হলে ক্রমান্বয়ে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে সড়কটি।

স্থানীয়রা বলেন, সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহালদশা, সবার ভাগ্য পরিবর্তন হলেও এই সড়কের ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি। সড়কের এই অবস্থায় গর্ভবতী মহিলাদের যাতায়াত খুবই কষ্টকর। সড়কের কারণে জরুরি সেবার কোন গাড়ি সময়মতো আসতে পারেনা। এমনকি অন্যান্য এলাকা থেকে এই এলাকায় কোন গাড়ি রিজার্ভ আসতে চাইনা।

স্থানীয় সিএনজি চালিত ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা বলেন, আমরা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে এই সড়ক দিয়ে গাড়ি চালাই, সারাদিন গাড়ি চালিয়ে রাতে যখন ঘরে যায় তখন সমস্ত শরীর ব্যথা হয়ে যায়।

ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে গাড়ি চালালে অনেক ঝাঁকুনি পেতে হয়। যার কারণে প্রতিদিন ব্যথা বা জ্বরের ওষুধ সেবন করতে হয়। এছাড়া সপ্তাহে কয়েকবার গাড়ি গ্যারেজে নিয়ে মিস্ত্রির শরণাপন্ন হতে হয়। বারবার করতে হয় মেরামত, পাল্টাতে হয় বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। এতে খরচ হয় মোটা অঙ্কের টাকা। তাছাড়া কোনো অসুস্থ লোক বা প্রসূতি মহিলা নিয়ে হাসপাতালে কিংবা ডাক্তারের কাছে যাওয়া খুবই মুশকিল হয়ে যায়।

স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম সিলেট বিভাগীয় প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শামীম বলেন, আমি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ২০১৮ সালে একবার সংস্কার করা হয়েছিল। সড়কের বর্তমান অবস্থা খুবই খারাপ, সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী জয়শ্রী দে বলেন, সড়কটির জন্য দু’মাস আগে প্রায় দুই কিলোমিটার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, এখনো অনুমিত আসেনি। অনুমিত পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বিআরইউ

Link copied!