নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
মে ৮, ২০২৫, ০২:৩৭ পিএম
নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
মে ৮, ২০২৫, ০২:৩৭ পিএম
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামের সন্তান মো. হামিদুর রহমান (আর.এম. হামিদ) সংগীতের প্রতি ভালোবাসা ও সাধনাকে পাথেয় করে অতিক্রম করে চলেছেন এক অনন্য সুরের যাত্রা। ছোটবেলা থেকেই সংগীতের প্রতি গভীর অনুরাগ তাকে নিয়ে গেছে গানের গভীরে।
তেবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনার শুরু। এরপর এস টি আই হাই স্কুল (তেবাড়িয়া) থেকে এসএসসি পাস করেন। তবে তার অন্তরের আকর্ষণ ছিল সংগীতের প্রতি। সেই আগ্রহ থেকেই সরকারি সংগীত কলেজ থেকে বিএ ও এমএ (সংগীত) ডিগ্রি অর্জন করেন।
গানের তালিম নিয়েছেন বহু গুণী ওস্তাদের কাছে। তার উল্লেখযোগ্য দুই গুরু হলেন ওস্তাদ রামেন্দ্রসুন্দর বোস এবং ওস্তাদ ইন্দ্রমোহন রাজবংশী। নিজেকে আজীবন গানের ছাত্র মনে করে হামিদ বলেন, “আমি প্রতিনিয়ত শেখার চেষ্টা করি—ছোট হোক বা বড়, যিনি ভালো জানেন, তাঁর কাছ থেকেই শেখার চেষ্টা করি।”
২০০৯ সালে তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘অন্তফ্রেম’ প্রকাশিত হয় এবং ২০১০ সালে ‘প্রার্থনাদ’ নামের একটি মিক্সড অ্যালবামে “কেন জোসনা ঢুইলা পড়ো” গানটি শ্রোতাদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। গানটির গীতিকার ও সুরকার ছিলেন কাজী আফজাল হোসেন।
এক যুগের বেশি সময় বিরতির পর আবারও গান নিয়ে ফিরেছেন হামিদ। শুরু করেছেন এক ব্যতিক্রমধর্মী প্রজেক্ট—১০০টি মৌলিক গান। এই প্রজেক্টে থাকছে ফোক, আধুনিক, সুফি, আধ্যাত্মিক ও বিচ্ছেদি ঘরানার গান। তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল Tuneline Music থেকে শুরু হয়েছে এই নতুন যাত্রা। ইতোমধ্যে “দেহ জমিন”, “ভবো সংসার”, “লীলা খেলা”, “যখন তুমি গান শোনাতে রাতে”—এই গানগুলো প্রকাশিত হয়েছে।
এই প্রজেক্টে হামিদের পাশাপাশি দেশের অনেক খ্যাতিমান শিল্পীর কণ্ঠে প্রকাশ পাবে তাঁর লেখা ও সুর করা গান। তার স্বপ্ন—বাংলা গানকে পৌঁছে দেওয়া বিশ্ব দরবারে।
তিনি নাগরপুরবাসীসহ সারা দেশের মানুষের কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, “আমি চাই বাংলা গানকে বুকে নিয়ে এগিয়ে যেতে, আর সবাই যেন বাংলা গানকে আরও বেশি ভালোবাসে।”
নাগরপুরের এই গুণী সংগীতসাধকের জন্য রইল অফুরন্ত শুভকামনা—তার গানে বাঙালির হৃদয় হয়ে উঠুক আরও সুরভরা।
ইএইচ