Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৮ মে, ২০২৫,

নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

গভর্নরের গাড়ি আটকে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ

আমার সংবাদ ডেস্ক

আমার সংবাদ ডেস্ক

মে ৮, ২০২৫, ০৫:৩১ পিএম


গভর্নরের গাড়ি আটকে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ

গভর্নরের গাড়ি আটকে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ব্র্যাক ব্যাংকের চাকরিচ্যুত কর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ব্যাংক আয়োজিত সিএমএসএমই নারী উদ্যোক্তা মেলার সামনে এ বিক্ষোভ করেন তারা।

মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে বের হওয়ার পথে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এই মনসুরের গাড়ি আটকে দেন বিক্ষোভকারীরা। এসময় গভর্নরের গাড়ির সামনে বসে পড়েন এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গভর্নর প্রোগ্রাম শেষে বের হচ্ছিলেন। তখন গাড়ির সামনে ব্যানার নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। একপর্যায়ে গাড়ির সামনে বসে যান তারা। আবার কয়েকজন নারীকর্মী গভর্নরের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন। নিরাপত্তা সদস্যরা তাদের সরিয়ে দিতে গেলে ধাক্কাধাক্কি, ধস্তাধস্তি ও একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের জোর করে সরিয়ে দেন এবং গভর্নর স্থান ত্যাগ করেন।

আন্দোলনকারী কর্মীরা অভিযোগ করেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে ব্র্যাক ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগে সৎ ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। কিন্তু কোনো পূর্ব নোটিশ ছাড়াই অন্যায় ও অমানবিকভাবে জোর করে চাকরিচ্যুত করা হয় তাদের। আবার অনেককে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল। এতে করে তারা চরম মানসিক চাপ ও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যান। অনেকে জীবিকা সংকটে পড়েছে, পরিবার চালানো হয়ে উঠেছে কষ্টকর।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, কর্মীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত করে ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট চাকরিচ্যুত কর্মীদের পুনর্বহালের নির্দেশ দেয়। কিন্তু ব্র্যাক ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সেই আদেশ অমান্য করেছে। এখন পর্যন্ত কাউকে পুনর্বহাল করা হয়নি।

এ সময় চাকরিচ্যুত কর্মীরা তাদের অবিলম্বে পুনর্বহাল, যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং ব্র্যাক ব্যাংক কর্তৃপক্ষের দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দা‌বি করেন।

এর আগেও চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে তারা বিভিন্ন সময় আন্দোলন করেছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনেও মানববন্ধন করেছিলেন।

চাকরিচ্যুত প্রায় ২ হাজার ৬৬৮ জন কর্মী। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ২ হাজার ৫৫৩ কর্মীকে জোর করে তাদের পদত্যাগে বাধ্য করা হয়।

আরএস

Link copied!