ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫
Amar Sangbad

সড়কের কাজ রেখে ‘পালালেন’ ঠিকাদার, ভোগান্তিতে লাখো মানুষ

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি:

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি:

জুন ২৯, ২০২৫, ১২:২৬ পিএম

সড়কের কাজ রেখে ‘পালালেন’ ঠিকাদার, ভোগান্তিতে লাখো মানুষ

পাবনার চলনবিলাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ (ভাঙ্গুড়া-নওগাঁ) সড়কে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার সংস্কারকাজ শুরু হয়েছিল গত বছর। কাজের অগ্রগতি হয়েছিল মাত্র ৪০ শতাংশ। এরপর হঠাৎ করেই কাজ রেখে ‘পালালেন’ ঠিকাদার। এরপর কেটে গেছে চার মাস, আর কোনো কাজ হয়নি। ফলে প্রতিদিন চরম ভোগান্তির মুখে পড়ছেন এই পথ ব্যবহারকারী লক্ষাধিক মানুষ।

সড়কটির সংস্কারকাজ বন্ধ থাকায় রাস্তাজুড়ে এখন শুধু খোয়া, ইট আর ধুলার স্তূপ। কোথাও কোথাও খোঁড়াখুঁড়ির কারণে বড় বড় গর্ত হয়ে আছে। এতে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সবচেয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে গত ১৫ মার্চ—সড়কে ছড়িয়ে থাকা খোয়ার উপর মোটরসাইকেলের চাকা পিছলে পড়ে ট্রাক চাপায় প্রাণ হারান বাবা-ছেলে।

উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নওগাঁর নৌবাড়িয়া চৌরাস্তা থেকে ভাঙ্গুড়ার ময়দানদিঘী বাজার পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের প্রকল্প নেওয়া হয়। কাজটি বরেন্দ্র লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান পেলেও বাস্তবে কাজটি করছেন ঠিকাদার রিজন আহমেদ।

গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি প্রকল্পের ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময় ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর। কিন্তু সময়সীমা পার হওয়ার আগেই কাজ ফেলে চলে যান ঠিকাদার।

স্থানীয় স্কুলশিক্ষক ও কবি নুরুজ্জামান সবুজ বলেন, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ চলাচল করেন। অথচ চার মাস ধরে কাজ বন্ধ পড়ে আছে। এ যেন জনভোগান্তির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

একই অভিযোগ খানমরিচ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন খানেরও। তিনি বলেন, সড়কের এই দুরবস্থার কথা আমরা উপজেলা প্রকৌশলীকে জানিয়েছি। কিন্তু কাজ আর শুরু হচ্ছে না।

ঠিকাদার রিজন আহমেদ অবশ্য বলেন, ‘আমি মাত্র ২৫ শতাংশ বিল পেয়েছি। বাকিটা না পাওয়া পর্যন্ত কাজ শুরু করতে পারছি না।’

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি কাজ না করলে নিয়ম অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

স্থানীয়দের প্রশ্ন, যখন প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটছে, তখনও কেন কাজ শুরু হচ্ছে না? বরাদ্দ থাকলেও কেন বিল আটকে আছে? প্রশাসনের জবাবের অপেক্ষায় থাকতেই হচ্ছে চলনবিলবাসীকে।

বিআরইউ

Link copied!