আব্দুল্লাহ আল আমীন, ময়মনসিংহ
জুলাই ১৪, ২০২৫, ০২:৫২ পিএম
ময়মনসিংহ সদর ও ভালুকা উপজেলায় পৃথক ঘটনায় পরিত্যক্ত ডোবা ও পুকুর থেকে তিন শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজের একদিন পর এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়, ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
রোববার সকালে সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের কাওয়ালটি গ্রামের নামাপাড়া এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ডোবা থেকে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিশুরা হল—আরিফ রব্বানীর ছেলে মো. হোসাইন (৪) ও আসাদুজ্জামান রুবেলের ছেলে রেজুয়ান আহমেদ (৫)।
স্বজনদের ভাষ্য অনুযায়ী, শনিবার সকালে বাড়ির সামনে খেলা করছিল হোসাইন ও রেজুয়ান। বেলা ১১টার পর থেকে তারা নিখোঁজ হয়। সারাদিন খোঁজাখুঁজির পর সন্ধ্যায় কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন স্বজনরা।
রোববার সকালে বাড়ির পাশের ডোবায় শিশুদের জুতা ভাসতে দেখে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে মরদেহ দুটি দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহত শিশুদের বাবারা ঢাকায় কর্মরত ছিলেন। সন্তানের মৃত্যুর খবর শুনে তারা তাৎক্ষণিক বাড়ি ফিরে আসেন। নিহত রেজুয়ানের বাবা আসাদুজ্জামান বলেন, “আমার ছেলেকে মেরে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছে। যারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শিবিরুল ইসলাম বলেন, “গতকাল থেকে দুই শিশু নিখোঁজ ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পানিতে ডুবে তাদের মৃত্যু হয়েছে। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে।”
অন্যদিকে, একই দিন সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার উথুরা ইউনিয়নের মরচি গ্রামে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে আরও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত শিশুর নাম মীম আক্তার (১০)।
ভালুকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর জানান, “মীম বিকেলে নিখোঁজ হয়। সন্ধ্যায় পুকুরে তার মরদেহ ভেসে ওঠে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি।”
এই ঘটনায় দুই এলাকায়ই শিশু মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শোক ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিহতদের পরিবার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।
ইএইচ