ফরিদপুর প্রতিনিধি
জুলাই ৮, ২০২৫, ০৮:১৮ পিএম
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় প্রি-ক্যাডেট স্কুল পরিচালনা এবং ইলেকট্রিক মিস্ত্রির ছদ্মবেশে সংঘটিত হচ্ছিল ভয়ংকর ডাকাতি। দিনের আলোতে সাধারণ পেশায় যুক্ত থাকলেও রাতে তারা সক্রিয় হয়ে উঠতেন সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের সদস্য হিসেবে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সম্প্রতি ভাঙ্গা উপজেলায় সংঘটিত দুটি ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার ও পাঁচ ভরি গলানো স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—নগরকান্দা উপজেলার শ্রীরাঙ্গাল গ্রামের আলিম শেখের ছেলে ও ‘দি ন্যাশনাল ইসলামিক প্রি-ক্যাডেট স্কুল’-এর পরিচালক মোক্তার হোসাইন মোকা (৪৫), একই গ্রামের মান্নান শেখের ছেলে ও ইলেকট্রিক মিস্ত্রি কিবরিয়া শেখ (৩৫), গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার চরবাহাড়া গ্রামের মৃত সেকেন শেখের ছেলে শহিদুল ইসলাম শহিদ (৪৫) এবং বোয়ালমারী উপজেলার শ্রীনগর গ্রামের পরিতোষ রায়ের ছেলে পার্থ রায় (৪২)।
পুলিশ জানায়, গত ৬ জুলাই রাতে ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদী ইউনিয়নের পূর্ব সদরদী গ্রামে দুই প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতরা গৃহকর্তা ও নারীসহ পাঁচজনকে কুপিয়ে আহত করে। ঘটনায় থানায় দায়ের হওয়া মামলার (মামলা নং-৭) ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মূল পরিকল্পনাকারী মোক্তার ও কিবরিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, দিনের বেলায় মোক্তার স্কুল পরিচালনা করলেও রাতের অন্ধকারে তিনি ডাকাতির নেতৃত্ব দিতেন। অন্যদিকে, কিবরিয়া ইলেকট্রিক মিস্ত্রির পরিচয়ে দিন কাটালেও রাতে ডাকাত দলের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তারা বিভিন্ন এলাকা থেকে ডাকাত দল ভাড়া করে এনে নিজেরাও মুখোশ পরে সরাসরি ডাকাতিতে অংশ নিতেন।
এর আগে ৩০ মে উপজেলার আলগি ইউনিয়নের শাহামুল্লুকদী গ্রামে একই রাতে দুটি বাড়িতে ডাকাতি হয়। সেখানে বাসিন্দাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লুটপাট চালানো হয়। ওই ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় শহিদুল ও পার্থ রায়কে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গলানো পাঁচ ভরি স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোশাররফ হোসেন বলেন, “দুটি ডাকাতির ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজন ছদ্মবেশে পেশাজীবী সেজে ডাকাতির পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে জড়িত ছিলেন। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”
ইএইচ