রাউজান প্রতিনিধি
আগস্ট ১১, ২০২৫, ০৩:৫১ পিএম
চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় মেহেদি হাসান হৃদয় (১৯) নামে এক তরুণ গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। স্থানীয়রা এটিকে রহস্যজনক মৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করছেন।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঢালারমুখ এলাকায় রহমত পাড়া সংলগ্ন নঈম সওদাগর বাড়ির আবদুর রহিমের ছেলে হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, হৃদয়ের কাছ থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে, যাতে লেখা ছিল—‘আমার মরার পিছনে কারো হাত নেই, আমি নিজ ইচ্ছায় ফাঁসি খেয়েছি। ভালো থেকো আম্মু, আব্বু, সবাই ভালো থেকো’।
স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে হৃদয় বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। সে ঘরের বালিশের নিচে মোবাইল ফোন ও চিরকুট রেখে গিয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, সে পাশের রহমত পাড়ার এক মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিল। এরপর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সকালে মোবাইল ও চিরকুট পাওয়া যাওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজতে বের হয়। পরে বসতঘর থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে রাউজান রাবার বাগান সংলগ্ন এলাকায় ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা মনে করছেন এটি আত্মহত্যা। তবে আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে পরিবারের কেউ বা স্থানীয় কেউ কিছু বলতে পারেননি।
হৃদয়ের বাবা আবদুর রহিম বলেন, “আমার ছেলে কেন আত্মহত্যা করেছে তা আমি জানি না।” হৃদয় রাউজান সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল। কিছুদিন ধরে রাজমিস্ত্রীর হেলপার হিসেবে কাজ করছিলো।
রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, “রহস্যজনক অবস্থায় ঝুলন্ত এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হৃদয়ের কাছ থেকে পাওয়া চিরকুট পূর্বের লেখার সঙ্গে মিল রয়েছে। মরদেহের ঘাড় ভাঙা রয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে উঁচু স্থান থেকে ফাঁস লাগিয়ে লাফ দেওয়ার সময় ঘাড় ভাঙতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।”
ইএইচ