টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
আগস্ট ১৯, ২০২৫, ০৩:৩৫ পিএম
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় উপজেলা নির্বাচন অফিস (ইসি) দীর্ঘদিন ধরে ভাড়াটিয়া ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। উপজেলা পরিষদ ভবন থেকে প্রায় ৬০০ মিটার দূরে, সরকারি বাসভবনের পিছনে স্থানীয় এক ব্যক্তির মালিকানাধীন ভবনের নিচতলায় চলছে এই অফিসের কার্যক্রম। অপ্রতুল জায়গা ও জটিল যাতায়াত ব্যবস্থার কারণে নাগরিক সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
২০১৯ সালে পুরাতন নির্বাচন অফিস ভবন ভেঙে ফেলার পর থেকে ২০২০ সাল থেকে বর্তমান ভাড়াকৃত ভবনে চলছে কার্যক্রম। তিনতলা বিশিষ্ট ভবনের নিচতলায় মাত্র দুটি কক্ষ ও একটি বারান্দা নিয়ে সেবা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ফলে অফিস সংশ্লিষ্টরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
উপজেলা পরিষদ ভবনে সব দপ্তরের নিজস্ব কক্ষ থাকলেও নির্বাচন অফিস বঞ্চিত রয়েছে। যদিও নতুন ভবন নির্মাণের জন্য জমি বরাদ্দ আছে, নানা জটিলতার কারণে এখনও নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনী কার্যক্রম জোরদার হয়েছে। সংসদীয় আসন গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া) এলাকার বিশেষ গুরুত্ব থাকলেও নিজস্ব ভবনের অভাবে নির্বাচন অফিসের সেবা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
এ প্রসঙ্গে নবাগত উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন,“উপজেলা নির্বাচন অফিস একটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর। অথচ এটি একটি ভাড়াকৃত বাসায় পরিচালিত হচ্ছে, যা দৃষ্টিকটু এবং অযৌক্তিক। এখানে যাতায়াত পথ জটিল হওয়ায় সেবা নিতে আসা অনেকেই অফিস খুঁজে পেতে ভোগান্তিতে পড়েন। একটি নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় দপ্তর হিসেবে নির্বাচন অফিসের নিজস্ব ভবন থাকা অত্যন্ত জরুরি।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার জানান,“বিষয়টি নিয়ে আমরা ইতোমধ্যেই আলোচনা করেছি। আপাতত সরকারি কোনো ভবনে নির্বাচন অফিস স্থানান্তরের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ইএইচ