জবি প্রতিনিধি
আগস্ট ১৩, ২০২৫, ০৮:৩৫ পিএম
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর বলেছেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা প্রাণ ভোমরা তারা হতাশ হয়েছে।” তিনি বলেন, “এই পট পরিবর্তনের পর আমরা দেখেছি, এত সমর্থনের পরও এই সরকার দুর্বলতার পরিচয় দিচ্ছে। আমরা একটি শক্তিশালী সরকার আশা করেছিলাম।”
বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আয়োজিত ‘জুলাই বিপ্লবে জবি অগ্নিকন্যা সম্মাননা ও নবীনবরণ’ অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আন্দোলন-সংগ্রামে নারীদের ভূমিকা তুলে ধরে নূর বলেন, “আমরা জানি, একাত্তরের পূর্বে ছাত্ররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। কিন্তু তারা সরকারে আসেনি। পশ্চিমা বিশ্বে দেখি, কানাডা বা নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হন ৩৫ বছরের কাছাকাছি বয়সে।”
তিনি আরও বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পরে দেশে যে ধরনের পরিবর্তনের আশা করেছিলাম, তা আমরা দেখিনি। তবুও আমরা আশাহত নই। তরুণদের হাতেই আগামীর বাংলাদেশ গড়া সম্ভব। যে রাষ্ট্র গঠন করতে চাই, সেখানে প্রতিটি নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত হবে।”
সিলেটের পাথর লুটের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি কল্পনাও করিনি সিলেটের সাদা পাথর এভাবে উধাও হয়ে যাবে। সেখানে সব ধরনের ফোর্স ও ছাত্র প্রতিনিধি থাকলেও কেউ বাধা দেয়নি। পরে এসে সবাই হায়হায় করছে।”
ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে নূর বলেন, “কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি ছাত্র সংসদ নির্বাচন না থাকে, তাহলে আমরা আবার আগের সেই নোংরা রাজনীতি দেখব। আমরা নাসির স্যারকে দেখেছি, যিনি ছাত্রদের অধিকার আদায়ে পুলিশের গুলির সামনে বুক পেতে দিয়েছিলেন। এরকম শিক্ষকদের আমি স্যালুট জানাই। আজ আমি এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলছি—এর সম্পূর্ণ কৃতিত্ব শহীদ ও আহতদের।”
জকসু নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের প্রত্যাশা থাকবে অক্টোবর-নভেম্বরের মধ্যে জকসু নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। গত আন্দোলনে আমরা জগন্নাথের শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেখেছি, এজন্য আমরা তাদের স্যালুট জানাই।”
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এ কে এম রাকিব এবং সঞ্চালনা করেন রায়হান হাসান রাব্বি। এতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ইএইচ