নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ১৩, ২০২৫, ০৭:২৯ পিএম
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব, আর সে লক্ষ্যেই ডিএনসিসি নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।’
বুধবার ডিএনসিসির কনফারেন্স কক্ষে ‘পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য সম্প্রদায়নির্ভর আবাসন ব্যবস্থা’ শীর্ষক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে ডিএনসিসি, কো-হ্যাবিট বাংলাদেশ এবং প্ল্যাটফর্ম অফ কমিউনিটি একশন অ্যান্ড আর্কিটেকচার।
অনুষ্ঠানে গাবতলী ও মিরপুরের পরিচ্ছন্নতাকর্মী কমিউনিটির সদস্যরা অংশ নেন।
এছাড়া দেশের শীর্ষস্থানীয় নগর পরিকল্পনাবিদ, শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, ওয়াটার এইড, হ্যাবিটেট ফর হিউম্যানিটি, ব্লাস্ট, গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটি, ভূমিজ, নগর আবাদসহ বিভিন্ন এনজিও ও আবাসন অধিকার আন্দোলনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এ বি এম সামসুল আলমসহ ডিএনসিসির সকল বিভাগীয় প্রধানও সেমিনারে যোগ দেন।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নগরজীবনের অপরিহার্য অংশ এবং নিরাপদ আবাসন তাদের মৌলিক অধিকার। কমিউনিটি-নেতৃত্বাধীন আবাসন কেবল নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করে না, বরং নগরের আর্থিক, সামাজিক ও স্বাস্থ্যগত উন্নয়নেও ভূমিকা রাখে।
সেমিনারে মিরপুরের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নিজস্ব বসতির ম্যাপিং ও উন্নয়ন পরিকল্পনা উপস্থাপন করে সম্মিলিতভাবে আবাসন সমস্যার টেকসই সমাধানের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
বক্তারা আরো উল্লেখ করেন, ন্যায্যতা ও মানবাধিকারের প্রশ্নে প্রচলিত আইন ও নীতিমালার পুনর্বিবেচনা জরুরি।
ডিএনসিসি পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং তাদের নিজস্ব প্রচেষ্টাকে সহায়তা করতে বদ্ধপরিকর।
কমিউনিটি-নেতৃত্বাধীন কার্যক্রমকে অনুমোদন, উৎসাহ ও সহসৃজনের মাধ্যমে সফল মডেল গড়ে তোলা গেলে তা সারাদেশে বিস্তার লাভ করতে পারে।
ইএইচ