ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বুধবার, ০৬ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

জাতীয় পোল্ট্রি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড গঠনসহ ৮ দফ দাবি বিপিআইএ এর

কালাম মুহাম্মদ

কালাম মুহাম্মদ

মার্চ ২৫, ২০২৫, ০৩:৪২ পিএম

জাতীয় পোল্ট্রি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড গঠনসহ ৮ দফ দাবি বিপিআইএ এর

জাতীয় পোল্ট্রি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড গঠন এবং কৃষি শিল্পের মতো পোল্ট্রি খামারের বিদ্যুৎ বিলে ২০% রিবেট প্রদান সহ ৮ দফ দাবি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিআইএ)।

(২৫) মার্চ মঙ্গলবার বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিআইএ)  নিজস্ব কার্যালয়ের সংগঠনের সভাপতি শাহ হাবিবুল হক জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে এইসব দাবি জানানো হয়। সারা বাংলাদেশের  বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারিরা তাদের উৎপাদানের ক্ষেত্রে চলমান প্রকৃত সমস্যা চ্যালেঞ্জ ও তাদের টিকে থাকার জন্য সরকারের  নিকট  বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। 

তারা আরো বলেন,  দেশের ৮০ শতাংশ  ডিমের জোগানদার জেনারেল ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারিরা।  ফেব্রুয়ারি থেকে জেনারেল ক্ষুদ্র ও মাঝারি  লেয়ার খামারিদের উৎপাদিত ডিমের দাম ধারাবাহিকভাবে কমা শুরু হলেও পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার পরে, আরো দ্রুত  দরপতনের কারণে বর্তমানে বিভিন্ন জেলা ভেদে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারিরা তাদের ফার্ম গেইটে ৭ টাকা থেকে ৭.৫০ টাকা যা আজকে ৯.১০ টাকায় প্রতিপিস ডিম বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।

বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মো. মহসিন বলেন, কোন স্থানে উল্লেখিত দামে ডিম বিক্রি করতে পারছে না খামারিরা প্রতিদিন ও অবিক্রীত ডিম জমে যাচ্ছে এবং দেশের বর্তমান আবহাওয়ায় উচ্চ তাপমাত্রার কারণে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে ডিম পচে যাওয়ার ঝুঁকি থাকছে ফলে ডিমের সাপ্লাই চেইন থেকে নষ্ট হবে এবং চূড়ান্তভাবে সামনের দিনে  ডিমের চাহিদার বিপরীতে ঘাটতির কারণ হতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, বর্তমানে একটি ডিমের উৎপাদন খরচ প্রায় ১১.৬৪ টাকার কাছাকাছি। সে হিসেবে প্রতি ডিমের একজন ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারির লোকসান দাঁড়াই ২.৫৪ টাকা। 

বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিআইএ) সংবাদ সম্মেলনে ক্ষুদ্র ও মাজারে খামারিদের টিকিয়ে রাখার স্বার্থে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ৮ দফা দাবি জানানো হয়;

১) বর্তমানে ডিমের দামের (ফার্ম গেইট প্রাইস) পতনে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারিদের জরুরি ভিত্তিতে নগদ আর্থিক প্রণোদনার ব্যবস্থা করা, যেহেতু সরকার ডিমের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন (কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ অনুসারে) সেহেতু সরকারের উৎপাদনকারী টিকিয়ে রাখার স্বার্থে ও ডিমের উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রাখতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিশেষ তহবিল গঠন করে স্বল্প (নামমাত্র সুদে) সুদে- দ্রুত সময়ে দীর্ঘ মেয়াদি ঋণের ব্যবস্থা করা,যেন এই সকল খামারিরা বর্তমান সংকট কাটিয়ে দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে পারেন।

২) কৃষি শিল্পের মত পোল্ট্রি খামারের বিদ্যুৎ বিলে ২০% রিবেট প্রদান ও তার জন্য শর্ত সহজ করা (শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রেশন দিয়ে এই সুযোগ প্রদান করা)। আমাদের আহ্বান থাকবে- জেনারেল

৩) (ক্ষুদ্র ও মাঝারি) খামারিদের টিকিয়ে রাখার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় যেন অতিদ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

৪) প্রতি বছর রমজান মাসে সারা দেশে বা লেয়ার ফার্ম ঘন (যেখানে সবচেয়ে বেশি ডিম উৎপাদন হয়) জেলাগুলোতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও ভোক্তা অধিদপ্তরের সমন্বয়ে গঠিত মনিটরিং টিমের মাধ্যমে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরে নিবন্ধিত জেনারেল ( ক্ষুদ্র ও মাঝারি) খামারিদের ডিম সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা।

৫) বর্তমান সময়ে বিভিন্ন উপকরণের মূল্যে বৃদ্ধির বাস্তব পরিপ্রেক্ষিতে ডিম মুরগির সরকার ঘোষিত যৌক্তিক দাম অনতিবিলম্বে পুনঃ নির্ধারণ করার জোর দাবি জানাই।

৬) ডিমের উৎপাদন খরচ কমাতে জেনারেল খামারিদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে পোল্ট্রি শেড নির্মাণ, খাঁচা তৈরি/ক্রয় ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার যন্ত্রপাতি ও স্থাপনা নির্মাণের জন্য আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করার ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাই।

৭) ডিম মুরগির বাজারে ফড়িয়া সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য কমানোর জন্য, ডিম মুরগির বাজার ব্যবস্থায় দক্ষ সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সরকারের নিকট জোর দাবি জানাই।

৮) পোল্ট্রি শিল্পের বর্তমান সমস্যা ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করে আগামী দিনে ডিম মুরগির চাহিদা বৃদ্ধির সাথে উৎপাদন ও যোগানের সাথে তাল মিলিয়ে ডিম মুরগির গুণগত মান বজায় রাখা, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, ডিম ও মুরগির মাংসের আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির পথ উন্মুক্ত করতে "জাতীয় পোল্ট্রি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড" গঠনের জোর দাবি উপস্থাপন করছি।

আরএস

Link copied!