৫ আগস্ট দেশের ইতিহাসে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন

ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার আহমেদ বলেছেন, ৫ আগস্ট দেশের ইতিহাসে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না। আল্লাহ চাইলে সবচেয়ে ক্ষমতাবানকেও ধরাশায়ী করতে পারেন। অন্যায়ের প্রতিবাদে বুক পেতে দিয়েছিল আবু সাঈদ, আর সেই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সারাদেশের তরুণ ছাত্র-ছাত্রীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তাদের ত্যাগ ও সাহস দেখে পরবর্তীতে অভিভাবকসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষ আন্দোলনের মাঠে নেমে আসে।

মঙ্গলবার সকালে নগরীর টাউন হল এডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা-২০২৫’-এর অংশ হিসেবে জুলাই শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

এ সম্মেলনের আয়োজন করে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন।

প্রধান অতিথি আরও বলেন, আন্দোলনে শহীদ পরিবার ও যুদ্ধাহত জুলাই যোদ্ধাদের যে শূন্যতা, তা কেবল ভুক্তভোগীরাই বুঝতে পারে। জুলাই আন্দোলনের চেতনা যেন হারিয়ে না যায়, সে বিষয়ে দেশবাসীকে সচেতন ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে হবে। এই চেতনার আলোকে দেশকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে হবে। এখনও যে অপশক্তি এ স্পিরিটকে ধ্বংস করতে তৎপর, তাদের প্রতিহত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয় এবং দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে জুলাই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। 

পরে, ময়মনসিংহ জেলার জুলাই আন্দোলনে শহীদ যোদ্ধাদের অভিভাবক, যুদ্ধাহত ও সক্রিয় অংশগ্রহণকারী জুলাই যোদ্ধাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য প্রদান করা হয়। 

বক্তারা স্মৃতিচারণের পাশাপাশি ফ্যাসিবাদ ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে ছাত্র-জনতার ঐক্য ও প্রত্যয়ের কথা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত— ছিলেন ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ আতাউল কিবরিয়া এবং পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম। 

এছাড়াও ময়মনসিংহ সদর উপজেলা ও জেলার ১৩টি উপজেলার জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শহীদ পরিবারের সদস্য, জুলাই যোদ্ধা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

ইএইচ